ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে: ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে: ফখরুল ফাইল ছবি

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। আমাদের দাবি তাদের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

এই অবস্থান থেকে এক মুহূর্তের জন্য আমরা সরে দাঁড়াব না।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে এবং দোয়া করতে আসেন দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের পরাজিত করার জন্য সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের ভোট অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আজ সেই সময়ে আমরা এই মহান নেতার শাহাদাত বার্ষিকী পালন করছি। আমাদের সমগ্র জাতির কাছে তা প্রাসঙ্গিক।  

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যখন দেশ রাজনৈতিক ব্যর্থতায় চলছিল, তখন এই মহান মুক্তিযোদ্ধা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়ার তিনি পুরো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, তার সহধর্মিণী গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে এই সরকার। তার সন্তান তারেক রহমান আজ প্রবাসে নির্বাচিত জীবনযাপন করছেন। ৩৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে তাদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের এই নেতার শাহাদাত বার্ষিকী নতুন করে প্রেরণা যোগাবে। নতুন করে শপথ নিয়েছি, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।  

সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই শপথ এখান থেকে নিয়েছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, মামলাগুলোর রায়ে বোঝা যায়, সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমাদেরকে দমন করতে চায়। তারা নানাভাবে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। এ আন্দোলনে এক দিনের নয়, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছি। ফরমায়েশি রায় দিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আদায় করবে।  

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।