ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে, অভিযোগ বিএনপির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে, অভিযোগ বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ, সরকার বিরোধী দলের সাড়ে ১৩শ মামলা নিয়ে মাঠে নেমেছে।

তার অভিযোগ, আগামী নির্বাচনের আগে এই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে কীভাবে বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো যায়, তা ভাবছে সরকার, যাতে নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে গোল দেওয়া যায়।  

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।

সরকার ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। অত্যন্ত ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, যে মামলা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে, পুনরায় শুনানি করে সে মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেওয়া হলো। মৃত্যু ঘনিয়ে আসার আগে যখন কোনো আশা থাকে না তখন কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা। সরকার হামলা-মামলা দিয়ে সে চেষ্টাই করছে।

তিনি বলেন, একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের ২০০৭ সালের মামলাগুলো অতি দ্রুত চালু করা হয়েছে। আত্মপক্ষের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে। এ নিয়ে কোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কথা বলতে চাইলে তাদের ওপর সরকারি দলের আইনজীবীরা হামলা করেন এবং পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালান। প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে সরকার এমন নোংরা ষড়যন্ত্র করছে।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একই ধরনের মামলায় বিচারক আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দিয়েছেন, অথচ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সারাদেশে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন সাত শতাধিক নেতাকর্মী। গত ১২ দিনে নতুন মামলা হয়েছে ১৫২। আসামি সাড়ে পাঁচ হাজার। ভয়-ত্রাস সৃষ্টি করে তারা এক কায়দায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা সফল হতে দেবে না।

ফখরুল বলেন, এই দানবীয় সরকারকে সরানোর যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা হামলা-মামলা দিয়ে দমানো যাবে না। আমাদের কর্মসূচিতে আগ বাড়িয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কেরানীগঞ্জে আমাদের নিপুণ রায়কে মেরে আহত করা হলো, অথচ তাকেই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।