ঢাকা: নিরাপদে প্রস্থানের জন্য সরকারের কাছে একটি পথই খোলা। সরকার যদি জনগণের মালিকানা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়, সঙ্গে দশ দফা দাবি মেনে নেয় সে পথে যেতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, সরকার এখন আমেরিকার ভিসা নীতির আতঙ্কে আছে। নিরাপদ প্রস্থানের জন্য সরকারের একটা মাত্র পথ খোলা আছে। সেটা হচ্ছে জনগণের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া; মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। সরকার যদি এসবের সঙ্গে দশ দফা দাবি মেনে নেয় তাহলেই নিরাপদে প্রস্থান করতে পারবে।
বর্তমান সময় সংলাপের নয় বরং বিলাপের মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা যে কথা বলছি তা কি আপনারা শুনছেন না? সংলাপ তো প্রতিদিনই হচ্ছে। সুতরাং সংলাপের পরিসমাপ্তিটা কী?
আমি বলব, শেখ হাসিনা যদি বুদ্ধিমতী হন তাহলে দশ দফা মেনে নেবেন। আগামীতে যেন একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় সে জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যবস্থা করবেন। এর মাধ্যমেই আপনারা অন্তত একটু হলেও বাংলাদেশে চলাচল করতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো পথ আপাতত খোলা নেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকারের কথা, গণতন্ত্রের কথা বলার জন্য যারা গুম হয়েছেন; আইনের শাসন ফিরে পাবার জন্য যারা গুম হয়েছেন তাদের বিচার এদেশে হবে।
স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া মানেই বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে গুম হওয়া পরিবারদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আলোচনা সভায় সভাপতি ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ইএসএস/এমজে