ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ভোটও দিতে এলেন না সা‌দিক আবদুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ভোটও দিতে এলেন না সা‌দিক আবদুল্লাহ

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে চাচা দাঁড়িয়েছেন। আনন্দ নিয়ে ভাতিজার ভোট দিতে আসার কথা।

কিন্তু বরিশালের সাবেক হতে যাওয়া মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তা করেননি। নিজের ভোটটি দিতে তিনি বরিশালে আসেননি।

এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর বরিশাল ফেরেননি সাদিক। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের জন্য গণসংযোগ করেননি। সোমবার (১২ জুন) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানেও তিনি আসেনি। দেননি চাচা বা অন্য কোনো প্রার্থীকে ভোট। এ নিয়ে সাদিকের ব্যাপারে নগরজুড়ে চলছে সমালোচনা।

সাদিকের না আসা নিয়ে খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যখন তিনি ভোট দিতে আসেন। সে সময় কিছু না বললেও ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। বলেন, সাদিক আসবে কিনা সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

গত ১ এপ্রিল বরিশাল ছাড়েন সাদিক। যান ভারতে। আজমির শরীফ হয়ে ফেরেন ঢাকায়। তখন থেকে সেখানেই আছেন তিনি। অবশ্য ঢাকা থেকে একবার বরিশালে নিজের কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করেন তিনি। সে সময় চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে ভোট দিতে সবাইকে অনুরোধ করেন।

স্থানীয় নেতাদের ভাষ্য, বরিশালে সিটি ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শুরু থেকেই চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিভেদ চলছিল। বিভেদ ঘোচাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নানামুখী তৎপরতা চালালেও ব্যর্থ হন। সাদিক আবদুল্লাহ ও তার বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারা শুরু থেকেই দূরে ছিলেন খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে। খোকন সেরনিয়াবাত তার নিজস্ব নেতাকর্মীদের নিয়েই পুরো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালান।

আলোচনা রয়েছে, সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী একটি পক্ষ দলীয় মেয়র প্রার্থীর জন্য মাঠে নামেনি। খোকনের অনুসারীদের অভিযোগ, দলের এই অংশ তাদের বিপক্ষে কাজ করেছে।

এদিকে খোকনের নির্বাচনী বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছিলেন, দলের উচ্চপর্যায় থেকেই সাদিক আবদুল্লাহকে বরিশালে না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সা‌দিক নিশ্চিত করে বলেছেন, কে‌ন্দ্রের বার‌ণে আমি ব‌রিশা‌লে যাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।