ঢাকা: সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
এতে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দলটির পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন। মহাসমাবেশ সফল হলে দলের আন্দোলনের গতিপথ পাল্টে যেতে পারে। আর সে কারণে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র আরও বলছে, সরকার মহাসমাবেশের দিন সড়ক, রেল ও নৌপথে রাজধানীতে প্রবেশে বাধা দিতে পারে- এই শঙ্কায় সারাদেশের নেতাকর্মীদের বুধবারের মধ্যে ঢাকায় প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করার জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তাদের সমমনা ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশস্থলের কাছে ১০টি স্থানে পৃথক বিক্ষোভের আয়োজন করবে। সম্প্রতি বিএনপির এক দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানানো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও এদিন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করবে।
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, দলের নেতাদের একাংশ হরতাল-অবরোধ চান না। রাজধানীর অন্তত ছয় থেকে সাত জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি ও লাগাতার সমাবেশের মতো কর্মসূচির কথা ভাবছেন নেতারা।
বিএনপি মনে করছে, দলের নেতাকর্মীরা কয়েকদিন রাজধানীতে অবস্থান করে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করতে পারলে সরকার ও আওয়ামী লীগ আন্দোলনের উত্তাপ টের পাবে। এ ছাড়া বিএনপির আন্দোলনের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে।
বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিরোধী দলগুলোর নেতারা বলছেন, সরকারকে বাধ্য করতে ও রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে মহাসমাবেশের পরের দুদিন সভা-সমাবেশ, রোববার (৩০ জুলাই) থেকে অবস্থান কর্মসূচি আসতে পারে। অবস্থান কর্মসূচির ক্ষেত্রে চারদিক থেকে সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও, নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ নানা সরকারি প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের কর্মসূচি থাকতে পারে, যেগুলোকে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এক দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে ৩৭টি রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, তারুণ্য নির্ভর সংগঠন এবং মেহনতি মানুষের সংগঠন মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। মহাসমাবেশ সফল করতে কৃষকদল, শ্রমিকদল, জাসাস, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দলের যৌথসভা করেছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন মোড় নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে এই মহাসমাবেশ একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। আন্দোলনের গতিপথ পরিবর্তন করা হবে। এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
টিএ/আরএইচ