চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় জামায়াত-বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে ও বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আলমডাঙ্গা থানায় গ্রেপ্তাররা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান বকুল (৫৩), সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন (৪০), ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আতাউল হুদা (৪৫) , বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ওবাইদুল ইসলাম ঝন্টু (৪৩) , লুৎফর রহমান টিটু (৫০), ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও চিকিৎসক এ কে এম নাজমুস সালেহীন লিপন (৪১), জেহালা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সমসের আলী ছমে (৪৭), জামজামি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজিবর রহমান (৫৫), খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ফতে আলী (৬০), ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বাদশা আলম (৬০), আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য জনি (২৮)।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নাশকতা পরিকল্পনার সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এনায়েতপুর স্কুল মাঠ থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দর্শনা থানায় গ্রেপ্তাররা হলেন- দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের জামায়াতের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন, জামায়াত নেতা তানজিল হোসেন, তিতুদহ গ্রামের নাজমুল হক ও হাফিজুল ইসলাম, নেহালপুর গ্রামের লোকমান হোসেন ও আরাফাত রহমান এবং বেগমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা মোশারফ হোসেন।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৭টি বোমা জব্দ করা হয়েছে। যা নাশকতার কাজে লাগানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া দামুড়হুদা থানায় আব্দুল গফুর (৪৯) নামে আরও এক জামায়াত নেতা কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার এসব জামায়াত-বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
এসআরএস