ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত, ৫ লক্ষাধিক কর্মী সমাগমের টার্গেট আ. লীগের

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত, ৫ লক্ষাধিক কর্মী সমাগমের টার্গেট আ. লীগের সমাবেশের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মঞ্চ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: যৌথ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পাঁচ থেকে ১০ লাখ নেতাকর্মীর জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন।  

আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন এ যৌথ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে।



বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আর রাত ১২টা নাগাদ পুরো মঞ্চ প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চ প্রস্তুতের দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পুরো মঞ্চের কাজ প্রায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মঞ্চ প্রস্তুতের দায়িত্বে নিয়োজিত আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা।  

আর শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল তিনটায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশ শুরু হবে। তিন সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠিতব্য এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

সমাবেশে কেমন জনসমাগম হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্ততে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, লাখ লাখ ছাত্র, যুবক, তরুণদের সম্মিলন ঘটবে সমাবেশে। শিক্ষাঙ্গনকে যারা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে চায়, যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের প্রয়োজনেই দলমত নির্বিশেষে লাখো তরুণ-শিক্ষার্থীর সমাবেশ ঘটবে।

সমাবেশে ছাত্রলীগের কোন কোন ইউনিট উপস্থিত থাকবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর সংলগ্ন বিভিন্ন ইউনিট থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে যোগ দেবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সূত্র জানিয়েছে, জনসমাগম নিয়ে অনেকে বাড়িয়ে তথ্য বললেও কমপক্ষে পাঁচ লাখ জনসমাগম হবে। ছাত্র-যুব ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রত্যেককে দুই লাখ করে কর্মী আনতে টার্গেট দেওয়া হয়েছে। মূল সংগঠন আওয়ামী লীগও সহযোগিতা করবে। সেজন্য ছয় লাখ না হলেও পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে জনসমাগম।  

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের আড়াই থেকে তিন লাখ কর্মী সমাবেশে যোগ দেবে আর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে আরও তিন লাখ নেতাকর্মী হবেন।  

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে ছয় লাখের বেশি নেতাকর্মীতে জনসমাবেশ মহাসমুদ্রে রূপ নেবে বলে দাবি স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ সহ-সভাপতির।  

এদিকে বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেছিলেন, যুবলীগের একার মহাসমাবেশে ১০ লক্ষাধিক যুবক-তরুণের সমাগম ঘটেছিল। এবারের সমাবেশ যেহেতু তিন সংগঠনের সেজন্য লোক সমাগম আরও বেশি হবে।

যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, যুবলীগের ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সাংগঠনিক থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে প্রায় পাঁচ লাখ নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগ দেবেন, এমন প্রস্তুতি তারা এরই মধ্যেই শেষ করেছেন।  

যুবলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলানিউজকে বলেন, এ সমাবেশে ১০ লক্ষাধিক লোক হবে, এমনকি ২০ লাখ লোকও হতে পারে।  

এদিকে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের যৌথ সমাবেশ হলেও মূল সংগঠনও এ সমাবেশে সার্বিক সহযোগিতা করতে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের সব থানা-ওয়ার্ড কমিটিতে নির্দেশ দিয়েছে সমাবেশকে সফল করতে মাঠে থাকার জন্যে।

মহানগর আওয়ামী লীগের এ নেতাও জানিয়েছেন, এ সমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের টার্গেট নিয়েই মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন দলটি।  

বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এনবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।