ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এই সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এই সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত: সাকি

ঢাকা: বর্তমান সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ককারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেছেন, এই সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত।

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গত কয়েক মাসে সরকার ২০ জন ব্যাক্তিকে হত্যা করেছে। মিছিলে গুলি করে হত্যা করা শুরু করেছে। যে সরকার মিছিলে গুলি করা শুরু করে, তাদের আয়ু বেশিদিন থাকে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকারের আর আয়ু নেই। তার লক্ষণ এখন পরিষ্কার।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিতে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, দেশ আজ ঐতিহাসিক সন্ধিঃক্ষণে অবস্থান করছে। সরকার ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিদেশিদের চাপে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করেছে। মূলত সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামে পুরোনো আইনটাই ফের চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার বিদেশি সংস্থা দিয়ে জরিপ করিয়েছে, ৭০ ভাগ লোক নাকি শেখ হাসিনার সরকারে খুশি। ভালো কথা, তাহলে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক। ৭০ ভাগ কেন, ৮০ ভাগ জনগণের সমর্থনে নির্বাচিত হলে আমরা স্যালুট দিয়ে মেনে নেবো। তবে এইসব রিপোর্ট যে ভূয়া, তা আওয়ামী লীগও ভালোভাবে জানে।

এইজন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজের অধীনে নির্বাচন জায়েজ করতে চায়। বেআইনি সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কোনো নির্বাচন বৈধ হতে পারে না। আর সে কারণেই বর্তমান সরকার আইনের দিক থেকে অবৈধ সরকার।

গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা আরো বলেন, উনারা (সরকার) বলছে, বিরোধী দল নাকি বিদেশি হস্তক্ষেপ ডেকে আনছে। আমরা এখন দেখলাম, থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে নিজেদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ করে। আরো দেখলাম, আওয়ামী লীগের একটি দল ভারতে গিয়ে বিজেপির সাথে মিটিং করে। রাষ্ট্রদূতদের এখন নানাভাবে খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেন পুরো দেশ উজাড় করে দিয়ে এই ক্ষমতা তারা রাখতে পারেন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া হক প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা একটি গণমিছিল করেন। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।