ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার ভাষণ শুনলে বুঝবেন ঘটনা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে: শামীম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
শেখ হাসিনার ভাষণ শুনলে বুঝবেন ঘটনা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছেন, সেটি দেখলে ঘটনা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে বোঝা যাবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমাদের কৈশোর হারিয়ে গেছে।

সেদিন থেকে বাংলাদেশ পেছনে যেতে থাকে। আমাদের রাজনীতিতে আসতে হয় গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা মাত্র ৩১ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ওরা কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি। জাতির জনকের কন্যাকে ২২ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে ২০০১ সালে বোম ব্লাস্ট হয়েছিল। তখন একটা কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। কারণ, আমি মারা গেলে কিছু হবে না। শেখ হাসিনা না থাকলে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে না।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছিল আমাদের স্বপ্নকে। আমরা যারা রাজনীতি করছি, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশটা অন্যরকম থাকত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, তিনি আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চান না,  মানুষের অধিকার চান। তিনি সারা জীবন জেলে কাটিয়ে জনগণকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ ওরা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে জাতির জনককে হত্যা করেছে।

শামীম আরও বলেন, জাতির পিতা জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা তার মৃত্যুর কারণ। তিনি বলেছিলেন আমি শোষক নয় শোষিতের পক্ষে। এ কথাটা বিশ্ব মোড়লরা ভালোভাবে নেয়নি। যারা স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল তারা এটা ভালোভাবে নেয়নি। তখনও তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল, বঙ্গোপসাগর চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, কারও কাছে আমি দেশের জমি বিক্রি করবো না।

শেখ হাসিনা হত্যার পরিবর্তে হত্যা করেননি। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা প্রায় পঞ্চাশ-ষাট জন বলেছিলাম, স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এক বছরের মধ্যে বিচার করে তাদের (হত্যাকারীদের) ফাঁসি দেন। তিনি বললেন না, আমি প্রচলিত আইনেই বিচার চাইবো। ১৬ জুন বোমা হামলার পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমরা নাকি শেখ হাসিনার পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করানোর জন্য বোমা মেরে আমাদের বিশজন লোককে হত্যা করেছি। এত নোংরা ও নৃশংস তারা।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ২০০১ সালের পর আমাদের কত মানুষ তারা মেরেছে আপনারা জানেন। এই হাত দিয়ে পঞ্চাশজনের লাশ দাফন করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে খুন করিনি। আমরা কারও বাড়িতে আগুন দিইনি, কারও অর্থ সম্পদ লুট করিনি। কারণ, আমাদের কাজ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এমআরপি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।