ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগ লুটপাট ও পাচারের পক্ষে আইন করেছে: কাইয়ুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
আ. লীগ লুটপাট ও পাচারের পক্ষে আইন করেছে: কাইয়ুম

ঢাকা: আওয়ামী লীগের আগে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের কেউই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা ছিল না। তারা লুটপাট বেআইনিভাবে করতো।

আওয়মাী লীগ লুটপাট ও পাচারের পক্ষে আইন করেছে। এসব মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিতে আয়োজিত এক গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আওয়ামী লীগের আগে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, কেউই একেবারে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা ছিল না। কিন্তু তখন পর্যন্ত লুটপাট বেআইনিভাবে হতো। আজকে তারা (আওয়ামী লীগ) গত ১৫ বছরের শাসনকালে লুটপাট ও পাচারের পক্ষে আইন করেছে। ব্যাংক লুটপাট করার জন্য এর মালিকানা যাতে বছরের পর বছর বিভিন্ন রকমের মাফিয়াদের কাছে থাকে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা কোনো সরকার নয়। তারা কোনোবারই জনগণের সমর্থন ও ভোট নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য বৈধ পথে ক্ষমতায় আসেনি। এরা চোর, পাচারকারী, মাফিয়াদের সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে জনগণকে শোষণ ও দেশকে দেউলিয়া করার পায়তারা করছে। আমরা এই সিন্ডিকেটকে অপসারণের কথা বলছি।

আজকে বিচার বিভাগকে পুলিশের থেকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিচার বিভাগকে সবচেয়ে বেশি দমনমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। আইনকে মাফিয়াদের পক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর পুলিশ, র‌্যাব ও মিলিটারি বাহিনীকে গুম এবং খুনের বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। আজকে এই গুম-খুনের ব্যাপার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং তাদের উপর আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা কিছুটা থেমেছে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার এবং শাসন ব্যবস্থা দুটোই আমরা (গণতন্ত্র মঞ্চ) পরিবর্তন করতে চাই। এর জন্য সবার আগে আমরা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চাই, পদত্যাগে বাধ্য করতে চাই। যদি তারা পদত্যাগ করে তাহলে তাদের জন্য, জনগণের জন্য, তাদের দালাল-চামচাদের জন্য ভালো। আর যদি তারা পদত্যাগ না করে, তাহলে আজকে ঢাকা যেমন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে, তেমনি সারা দেশ মিছিলের দেশে পরিণত হবে। এ জন্য তিনি সবাইকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা গণমিছিল করেন। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুরু হয়ে পল্টন, বিজয়নগর পানির ট্যাংকি হয়ে কাকরাইল গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।