ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামবে বিএনপি

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামবে বিএনপি

ঢাকা: সরকার পতনের একদফা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে গণমিছিল, অবস্থান ও মহাসমাবেশের মতো বড় কর্মসূচি পালন করেছে তারা।

তবে কবে নাগাদ চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবে দলটি তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এখনই সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামবে, নাকি  আরও শক্তি সঞ্চয় করবে সেটাই ভাবছে দলটির নীতিনির্ধারণী মহল। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

দীর্ঘ দিন আন্দোলনের পর গত ১২ জুলাই সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের ঘোষণা করে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গণমিছিল, কালোপতাকা মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান ও মহাসমাবেশসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে দলগুলো। তবে ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশের পরের দিন ২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি বলে আলোচনা চলছে দলের মধ্যে।

বিএনপি সূত্র বলছে, অবস্থান কর্মসূচির পর একদফা আন্দোলনে বিএনপি কিছুটা বিরতি টানলেও ফের পূর্ণ শক্তি নিয়ে রাজপথ দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলটি। সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচির পথেই হাঁটার আপাতত সিদ্ধান্ত রয়েছে দলের নীতিনির্ধারকদের। আর এর জন্য সেপ্টেম্বর মাসকেই বেছে নেওয়ার কথা ভাবছে দলটি।

তবে সেপ্টেম্বরে সরকার পতনের একদফা দাবিতে কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে সে বিষয়ে শীর্ষ নেতারা খোলাসা করে কিছু বলছেন না। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ফের রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান, ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও এবং লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি।

এ অবস্থায় সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কর্মসূচিতে ভিন্নতা আনার চিন্তা শুরু হয়েছে। কিন্তু কী সেই ভিন্নতা, তা এখনও পরিষ্কার নয় নেতাদের কাছেই। তবে দলের কেউ কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আন্দোলন জোরদার করার পক্ষে।

দলীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কমিটির সদস্যদের চূড়ান্ত আন্দোলন কবে শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। আন্দোলন নির্বাচনী তফসিলের আগে না পরে, সে বিষয়ে নেতাদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মতামত নেবেন। তাঁদের মতামত নেওয়ার পর চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করা হতে পারে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বাংলানিউজকে বলেন, সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেপ্টেম্বর মাসে নতুন ধারা যুক্ত হবে। তবে কোন ধরনের আন্দোলন বা কী কর্মসূচি হবে, তা স্থায়ী কমিটির সভায় চূড়ান্ত হবে।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান বিশ্বাস শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন লাগাতারভাবে সরকার পতনের চলমান কর্মসূচি চলবে। প্রতিনিয়ত আন্দোলন বেগবান হবে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
টিএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।