ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খুনি তারেক কারাগারেই সুন্দর: সাদ্দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
খুনি তারেক কারাগারেই সুন্দর: সাদ্দাম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন

ঢাকা: ছাত্র সমাবেশকে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে আগমনী রায় হিসেবে দেখছেন উল্লেখ করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের আত্মমর্যাদা এত ঠুনকো নয়, আমরা খুনিদের রাজনীতি বাংলাদেশে মেনে নেবো। সরকারের প্রতি আমাদের উদ্ধাত্ত আহ্বান থাকবে, ২১ আগস্টের ঘাতককে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে।

ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আমরা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই, বন্যরা যেমন বনে সুন্দর, খুনি তারেক তেমনি কারাগারেই সুন্দর। অনতিবিলম্বে ২১ আগস্টের ঘাতক তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার আহ্বান আমরা রাখছি।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছাত্র সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতক যারা রয়েছে এবং আজকেও যারা রাজনৈতিক মোড়কে বাংলাদেশে রাজনীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, গণতন্ত্রের মোড়কে দেশি বিদেশি মোড়কে যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার চেষ্টা করে আজকের ছাত্র সমাবেশ থেকে আমরা বলতে চাই, খুনিদের রাজনীতি, সন্ত্রাসীদের রাজনীতি, জঙ্গিবাদের রাজনীতি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ সমর্থন করে না। আমরা আজকে সুসষ্পষ্টভাবে বলতে চাই, নো কমপ্রমাইজ ইউথ দ্য কিলারস। হত্যাকারীদের সঙ্গে আপস করার রাজনীতি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কখনোই সমর্থন করবে না।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ছাত্রলীগের শীর্ষনেতা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা এটি দলীয় কোনো বিষয় নয়। এটি গোটা বাংলাদেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। স্মর্ট বাংলাদেশ আজকে তরুণ প্রজন্মের কমন থিম। কমন ডেসটিনেশনে (গন্তব্য) পরিণত হয়েছে। এ কারণে আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের আগমনী রায় দেওয়ার জন্য আমরা এখানে এসেছি। বঙ্গবন্ধু তনয়া আমাদের সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন উপহার দিয়েছেন। উন্নত লেখাপড়ার সুযাগ দিয়েছেন। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দক্ষতার ভিত্তিতে যেন চাকরি পায় সেই নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা সর্বজনীন পেনশন চাই নাকি সর্বজন টেনশন চাই সেই সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে উন্নয়নের টানেল চাই নাকি মানিলন্ডারিং এর চ্যানেল চাই। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের সাইবার যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা, ১৮০৯ সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
এসকেবি/এমইউএম/এসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।