ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

উচ্চ আদালত এখন সরকারের নিপীড়নের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার: হাসনাত কাইয়ুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
উচ্চ আদালত এখন সরকারের নিপীড়নের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার: হাসনাত কাইয়ুম

ঢাকা: সরকার গত ১৫ বছর ধরে উচ্চ আদালতকে সাংঘাতিকভাবে ব্যবহার করছে। তারা উচ্চ আদালতকে মানুষের রাজনৈতিক অধিকারের বিপরীতে সবচেয়ে বড় নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করেছে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এ দাবি করেছেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন: বাক স্বাধীনতা হরণের নয়া হাতিয়ার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ছয় রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার লুটপাট, অর্থ আত্মসাৎ, পাচার, ব্যাংক লুটপাট করার জন্য একটির পর একটি আইন বানাচ্ছে এবং ব্যবহার করছে। এই আইনগুলো কার্যকর করতে  আগে তারা (সরকার) পুলিশ ও নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করত। কিন্তু গত ১৫ বছর যাবত তারা (সরকার) সাংঘাতিকভাবে উচ্চ আদালতে ব্যবহার করছে। এবং উচ্চ আদালত মানুষের রাজনৈতিক অধিকারের বিপরীতে সবচেয়ে বড় নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এই ধরনের নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে তারা (সরকার) আসলে দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইন ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এটাকে তারা রক্ষা করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার তার বিরুদ্ধে যে রাজনীতি আছে, সেই রাজনীতিকে সাইবার ক্রাইম যেগুলো হতে পারে, সেগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে নতুন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। অতএব এই আইন বাতিল করতে হবে। এটি করার জন্য প্রয়োজন হলে এই সরকারকে যেতে হবে, শাসন কাঠামোকে যেতে হবে। মানুষের বাক স্বাধীনতা, ভাবনার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, রাজনীতি করার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো আইন দাঁড়াতে পারে না।

আইনের নামে বজ্জাতি কিংবা দমনমূলক ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছে, ৯০ সালে গণঅভ্যুত্থান করেছে। এখন এগুলো বাতিল করার জন্য মানুষ আপনাদের (সরকার) ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা আরও বলেন, এই সরকারকে যেমন বিদায় করতে হবে, তেমনি এই শাসন ব্যবস্থাকেও বিদায় করতে হবে। এই শাসন ব্যবস্থার যে ক্ষমতা কাঠামো, যেই ক্ষমতার বলে তারা (সরকার) যা ইচ্ছে তাই করে, কিন্তু তাদেরকে কোনো জবাব দিতে হয় না। সেই জবাবহীন ক্ষমতা কাঠামোকে নতুন করে সংস্কার করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে রূপান্তরিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ কাজ করছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।