ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আসেন এক মঞ্চে বক্তব্য দেই, বিএনপিকে শামীম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
আসেন এক মঞ্চে বক্তব্য দেই, বিএনপিকে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী দুই মাস কঠিন ষড়যন্ত্র হবে। আমি আপনি না থাকলে কিছু হবে না।

একটি মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে। ওই মহিলাকে নিয়েই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আল্লাহ যেন জাতির পিতার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখে। আসুন নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজাই আওয়াজ তুলি, আগামী ১৬ তারিখ সমাবেশে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙবে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর জনসভাকে ঘিরে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সিদ্ধিরগঞ্জ চাইলে আওয়ামী লীগের ক্যান্টনমেন্ট হতে পারে। যদি সবাই মিলে এক হয় বিভেদ বাদ দিয়ে তাহলে এখানে এক থাকলে র‍্যাব পুলিশ সেনাবাহিনী প্রবেশ করতে পারবে না।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভিকে ছোট বোন উল্লেখ করে বলেন, আমি আমার ছোট বোনকে অনুরোধ করবো এখন সবকিছুর দাম একটু বেড়েছে যুদ্ধের কারণে তাই সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষের ট্যাক্সটা কমিয়ে দিতে হবে। আমি আশা করবো আমার ছোট বোন আমার কথা রাখবে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে করে শামীম ওসমান বলেন, যদি মনে করেন আবার মারবেন ফাটাবেন ফুটাবেন তাহলে কিন্তু সময়ও পাবেন না। যদি বলেন সমাবেশ করবেন মিটিং করবেন আসেন এক মঞ্চে বক্তব্য দেই। কেন জনগণ আপনাদের বেছে নেবে কেন আমাদের বেছে নেবে বলি, জনগণ যদি আমাদের না বলে তাহলে ছেড়ে দিব আর যদি আপনাদের না বলে তাহলে আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না।

সিদ্ধিরগঞ্জবাসীকে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, নেত্রী বলামাত্র যেন লাখো লোক সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে পারেন সেভাবে প্রস্তুত হন। দেশের জন্য আগামী দুই মাস সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আমার বাবা একজন সৎ লোক ছিলেন। আমার মা অনেক সাহসী মহিলা ছিলেন। আমার মা কখনো ভয় পেতেন না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চাইতে বড় ভাই চলে গেলেন ভারতে। রাজনীতি করবো কখনো চিন্তা করিনি। একটি দেশ স্বাধীন করে যারা লুটপাট করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়। তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে দেখেন পাকবাহিনী মারতে পারলো না কিন্তু আমরা মেরে ফেললাম। পরিবারসহ হত্যা করল। ছোট ছেলেটাকেও ছাড়লো না। আমার অবাক লাগে। আমরা কি জাতি একটা মহিলাকে আমরা এতিম করে দিলাম। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২-এ তার পিতার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে চেয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর নামাজ পড়তে দেয়নি। এই দেশে এখনও যদি রাজাকার আল শামস, জামায়াতের লোকেরা যদি কথা বলে হুমকি দেয় রাজপথ দখল করার তাহলে এই স্বাধীনতার কোনো দরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছি। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন আপনার আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ। তাই শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই নারায়ণগঞ্জ গত ১৪ বছর অনেক শান্ত ছিলো। আমরা ক্ষমতায় এসে কিন্তু কাউকে একটা ফুলের টোকাও দেইনি। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকে আমরা ভয় পাই না। মা কইয়া গো বলার সময় পাবেন না কিন্তু। মামা নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা করবেন না। বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অশ্লীল ভাষায় কেউ গালি দিবেন আমরা কিন্তু ঘরে বসে থাকবো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মতিন মাস্টার, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও আওয়ামী লীগ নেতা তানজিম কবির সজিব সজু।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।