ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ইইউকে বাংলাদেশে টিম পাঠানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
ইইউকে বাংলাদেশে টিম পাঠানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই, মানবাধিকার হুমকির মুখে।

মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই-এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে আওয়ামী লীগ তাদের নিরাপত্তা দেয় না, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নেই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকবো না।

শুক্রবার (১৫সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হেফাজত নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিস্ট, বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। সেই আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করে। এদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান,গারো ও চাকমা সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি থাকে। নাগরিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে হেফাজত সমাবেশ করেছিল। আমি সেদিন খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। খুব কাছে থেকে দেখেছি, তাদের খুব অনুরোধ করেছিলাম সমাবেশ শেষ করতে, সন্ধ্যার দিকে সরকারের কাছে খবর আসে তারা সমাবেশ থেকে উঠে যাবে না।  রাতের মধ্যে তারা গণভবন ঘেরাও করে, সচিবালয় ঘেরাও করে, তারা সরকারের পতন ঘটাবে। রাত ৮টার দিকে কি দেখেছিলাম? খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএনপির নেতারা হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে। এরশাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ালেন। খাবার নিয়ে দাঁড়ালেন। সারা দেশ আতঙ্কগ্রস্ত। গণভবন ঘেরাও হবে কিনা? সচিবালয় ঘেরাও হবে কিনা?  হেফাজতের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? নাকি বিএনপির কাছে দেবে ক্ষমতা। এমন এক পরিস্থিতি। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, রাত ৩টার মধ্যে শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিল ঢাকা মহানগরের নেতারা।

হেফাজতের সে সমাবেশে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে, এর চাইতে বড় মিথ্যাচার আর কি হতে পারে? সে মিথ্যাবাদীর যদি বিচার হয় আইনে, সেটি কি অন্যায়?"

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটানা আন্দোলন সংগ্রাম করছে। একই দাবি নিয়ে ১৩ সাল থেকে শুরু করেছে, শেখ হাসিনা পালাবার পথ পাবে না, একই কথা বারবার বলছে, শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসলে ১৩ সালের পরিণতি হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ 
এনবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।