ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ক্ষমতাসীনরা সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করেছে: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
ক্ষমতাসীনরা সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করেছে: সাকি ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়’ শিরোনামে গণতন্ত্র মঞ্চের আলোচনা সভা

ঢাকা: একটি চিন্তার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংবিধান তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করেছে বলে মন্তব্য করেছেনগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের যে রায়ের কথা বলে আওয়ামী লীগ যুক্তি দেয়, সেই রায়ের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছিল, আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এবং আদালতের রায় বিকৃত করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সমস্যাগ্রস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান একটা চিন্তার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামত সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। এই সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকার অসাংবিধানিক ও অবৈধ। সংবিধান মেনেই এই সরকারকে চলে যেতে হবে।

আওয়ামী লীগ সব নীতি বর্জন করেছে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের একটাই ধান্দা। তারা কোনো নীতি কথা শুনবে না। কারণ তারা সকল নীতি বর্জন করেছে, ব্যাংকগুলো খালি করেছে। আগামীতে নির্বাচনে গুন্ডা-হোন্ডা সবই যাবে, তারপর বিদেশিদের দেখাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

সরকার আরেকটা নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে এখন সরকার বলছে নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। আওয়ামী লীগের এখন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে তাহলে একদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করতে পারে। কিন্তু সরকার এখন আরেকটা নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। আর তাদের সাহায্য করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, নাগরিকদের ভোটের অধিকার সংবিধান দিয়েছে। কিন্তু সরকার তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের সংবিধান সম্মত এই অধিকার পদদলিত করছে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেনি। প্রধানমন্ত্রী তখন মিথ্যাচার করেছিলেন। আদালত এখানে ভূমিকা নিতে পারত, কিন্তু নেয়নি। একতরফা কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।