ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই: ফারুক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই: ফারুক ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত প্রতীকী অবস্থানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ)।

জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, এই সরকার মানুষকে কথা দিয়েছিল ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে, মানুষ দরজা খুলে ঘুমাবে। একটি কথাও শেখ হাসিনা রক্ষা করতে পারেনি। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে এর জবাব চাই। জবাব আজ হোক, কাল হোক আপনাকে দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চান বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। যেভাবে আট আনা দিয়ে গণভবন কিনে নিয়েছিলেন, সেভাবে বাংলাদেশের মালিক হতে চান আপনি। তাই আপনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চান না। তাই আপনি আপনার বিরোধিতা করা রাজনৈতিক নেতাদের অসত্য মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান। তাই আপনার কাছে আর দাবি নয়।

তিনি আরও বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিনা ভোটের মেয়র বলে, মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবে না। এই তাপস, আপনার বাবার সঙ্গে আমার রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে। কথাবার্তা একটু সাবধানে বলবেন। মির্জা ফখরুল তো লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। ঠেকাতে পেরেছেন আপনি (মেয়র তাপস)? তাই মুখে কথা বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, বুড়িগঙ্গায় এমন মাছের জন্ম হয়েছে, যেই মাছ আগে মশা খেতো, সেই মাছ এখন মানুষ খাচ্ছে। বুড়িগঙ্গার যে মাছ আপনি সরাতে পারেন না, ডেঙ্গু সরাতে পারেন না, আপনার সরকার মানুষকে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না, আপনার মুখে এসব কথা কি শোভা পায়?

বিএনপির এই নেতা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও লেখা নেই স্বৈরাচার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। হাছান মাহমুদের মুখে জোর আছে, ওবায়দুল কাদেরের মুখে জোর আছে, ভোট চোরের মুখে এখন শক্তি বেশি। এই শক্তি তখনই শেষ হয়ে যাবে, যখন প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের পক্ষে কথা বলা শুরু করবে। কারণ দিন বেশি নেই।

ষড়যন্ত্র করে ছিন্নমূল বিএনপি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ঘরে রেখে অনেকে ছেড়ে গিয়েছিল। বড় বড় নেতারা দল করেছিল। টিকতে পারেনি, চুরমার হয়ে গেছে, রেল লাইনে অপমানিত হয়েছে। কোথায় তারা আজকে? টিকে আছে শুধু খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলের মতো নেতারা। তাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসবে। সময় বেশি নেই। গণতন্ত্র আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিতে হবে। ভোট আপনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে।

জিসফের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।