ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার-সিটি করপোরেশন সত্যিকার উদ্যোগ নেয়নি: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার-সিটি করপোরেশন সত্যিকার উদ্যোগ নেয়নি: সাকি

ঢাকা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সিটি করপোরেশন কোনো সত্যিকার উদ্যোগ নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি আয়োজিত ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ ও দ্রব্যমূল্য জনগণের নাগালের আনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকী বলেন, প্রতিদিন কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। জুন-জুলাই থেকে ব্যাপক প্রকোপ শুরু হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সিটি করপোরেশন কোনো সত্যিকার উদ্যোগ নেয়নি। ২০১৯ সাল থেকে দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, অথচ ডেঙ্গু মশার লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে, তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তেমন উদ্যোগ নেওয়া হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪০ ভাগ কমে যেত। অথচ পাশের দেশ ভারত এমন উদ্যোগ অনেক আগেই নিয়েছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পরে সিটি করপোরেশন কোনো যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। যেসব কীটনাশক নিয়ে এসেছে সেগুলো কাজে লাগেনি। বরং এসবের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। ৮০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে, অথচ সে অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দরকার পড়ে স্যালাইনের, অথচ এই স্যালাইন নিয়ে ব্যবসা করা হয়েছে। সংকট দেখিয়ে অধিক লাভে বিক্রি করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রয়োজন নেই, কিন্তু ডাক্তাররা রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে।

সাকি বলেন, একদিক দিয়ে ডেঙ্গুতে মানুষ মরে, অন্যদিক দিয়ে বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠে। সিন্ডিকেটের ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এ সিন্ডিকেট সমস্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। সরকারের চিন্তা হলো কিভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসা যায়।

গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যদি ভালো থাকতে হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। আর সে লড়াই হবে সরকার হটানোর লড়াই। একটি জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সদস্য আল-আমিন, রিমিসহ অন্যান্য সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।