ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করেছে ৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘জাতীয় জোট’।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এই জোটে থাকা অন্যান্য দলগুলো হলো— গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ বেকার সমাজ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টি ও বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রামী ভোটার পার্টি।
জোটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন। কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন পিআরপির চেয়ারম্যান সরদার মো. আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ বেকার সমাজের সভাপতি মো. হাসান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বাদল, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মনছুর আহমেদ, বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রামী ভোটার পার্টির চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন।
এছাড়া জোটের অন্যান্য সমন্বয়কারীরা হলেন পিআরপির মহাসচিব ড. শরীফ সাকি, বাংলাদেশ বেকার সমাজের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টির মহাসচিব মো. মুস্তাকিম হোসাইন, বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রাম ভোটার পার্টির মহাসচিব মো. নিজাম উদ্দিন।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জোটের ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন আজও শতভাগ স্বীকৃতি পায়নি। ফলে দেশের প্রতিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে। ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন’ নামে একটি বিতর্কিত নির্বাচন জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। যে পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘটিত হয়েছিল, তার কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সংসদের তথাকথিত বর্তমান বিরোধী দল বা অতীতে ক্ষমতাভোগী বড় কোনো দল সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বললেও রহস্যজনক কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো রকম তাগিদ দেখাচ্ছেন না। মনে হচ্ছে অব্যবস্থা ও অনিয়মের নির্বাচন তারাও চাচ্ছেন।
কাজী রেজাউল হোসেন আরও বলেন, দেশকে স্বাভাবিক কার্যধারায় রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। সুতরাং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনে অংশ গ্রহণে ইচ্ছুক কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলিত হয়ে আমরা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে ‘জাতীয় জোট’ গঠন করেছি। বন্ধুপ্রতীম এসব দল নিয়ে গঠিত এই জাতীয় জোট দেশের পরবর্তী সব নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং দেশের যে কোনো সংকট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এই জোট অন্য যে কোনো সমমনা রাজনৈতিক বা নির্বাচনী জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে আগ্রহী। জাতীয় জোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস’-এর নির্বাচনী প্রতীক ‘ডাব’ নিয়ে সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তবে অন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই জোটে বা মহাজোটে শরিক হলে তারা অন্য কোনো প্রতীক নিয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। জাতীয় জোট জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আঞ্চলিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি যৌথভাবে পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ