ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভিসানীতি আরোপ মুক্ত গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
ভিসানীতি আরোপ মুক্ত গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ: তথ্যমন্ত্রী

রাজশাহী: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক চমকৎকার। তাদের ভিসানীতি একটি বিচ্ছিন্ন বিষয়।

তবে গণমাধ্যমে ভিসানীতি আরোপ মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ। কারণ, আমাদের দেশের গণমাধ্যম অনেক শক্তিশালী। আর এই বিষয় নিয়েই বিএনপি লাফাচ্ছে। ভূ-রাজনীতে তারা ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা’।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া শিমুলতলা মোড়ে রাজশাহী জেলা ও নগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ভিসানীতি হয়েছে। তবে এই ভিসানীতিতে কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, এটি তাদের ব্যাপার। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কে অনেক ভালো। তবে গণমাধমকে কেন এই ভিসানীতিতে ফেলা হবে সেটি আমারও বোধগম্য নয়। তাদের এই ভিসানীতি আমাদের স্বাধীন গগণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করা। অন্য কোনো দেশের আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের বিষয়টি নেওয়ার মতো নয়। হয়তো পরে তারা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা করবে।

দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক জিয়াও আবার আসবে। সে এসে হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন তৈরি করবে। এবার দেশের ৫০০ যায়গায় নয়, ৫ হাজার জায়গায় বোমা হামলা হবে। যদিও নানান আন্দোলন কর্মসূচিতে বিএনপি বলেছিল, আওয়ামী লীগ থাকতে পারবে না। আমাদের টেনে ক্ষমতা থেকে নামাবে। কিন্তু টান দিতে গিয়ে এখন বিএনপিই রশি ছিড়ে পড়ে গেছে।

তিনি বিলেন, ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি এখন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। যারা বাতাস দিয়ে দিয়ে আপনাদের লাফাচ্ছিল, তারা এখন আর আপনাদের দুধ দেবে না। বিএনপি খালি বলে, তারা নাকি ফাইনাল খেলবে। কিন্তু খেলতে আসতে চাই না। তবে তারা আসুক না আসুক আমরা ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। প্রয়োজনে যুবলীগকে মাঠে পাঠাব, মহিলা লীগকে পাঠাব। আগে তাদের সাথে খেলেন, তারপরে আওয়ামী লীগের সাথে খেলবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত স্বাধীন এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করে। আমাদের দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। গণমাধ্যম সব সময় গণতন্ত্রের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। শক্তিশালী স্বাধীন গণমাধ্যম সব সময় গণতন্ত্রের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং কোন যুক্তিতে আপনারা অন্য কাকে ভিসা দেবেন, নাকি দেবেন তাতে কিছু আসে যায় না। আপনারা কোন আওয়ামী লীগ নেতাকে ভিসা দিলেন কি দিলেন না, কোন বিএনপি নেতাকে ভিসা দিলেন কি দিলেন না, এতে কিছু আসে যায় না। আমরা কিছু মনে করি না। এটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু কেন গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি কার্যকর হবে, এরা বুঝতে পারলাম না!

রাজশাহী নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান চৌধুরী নিখিল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অনীল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান ও রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতা, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।