নড়াইল: এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না, প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণজাগরণের মাধ্যমে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদার আদালতে মানহানি মামলা খারিজের আবেদন শুনানি শেষে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার যেভাবে আছে সেভাবে থাকার চেষ্টা করবে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের চেষ্টা করবে। জনগণ যদি ভোট দিতে না পারে তাহলে কীসের নির্বাচন।
মামলাটি শুনানির সময় আসামির পক্ষে আইনজীবী থাকলেও বাদী পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
এর আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আগমন কীসের সকাল থেকে আদালত চত্বরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকায় তার দলের এক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে বলেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেল আর আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে ফুল দেয়, না গেলে আবার পাপ হয়। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামের শেখ আশিক বিল্লাহ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বসে এ খবরটি পড়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। পরে শেখ আশিক বিল্লাহ বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর (২০১৫) দুপুরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত প্রথমে সমন এবং পরে এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০২১ সালের ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করতে আদেশ দেন।
পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলাটি বর্তমান বিচারের জন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদার আদালতে বিচারাধীন আছে। আগামী নভেম্বর মাসের ২২ তারিখে এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
আরএ