ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘মায়া চৌধুরী আমার থেকে নৌকা প্রতীক কেড়ে নিয়েছেন’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
‘মায়া চৌধুরী আমার থেকে নৌকা প্রতীক কেড়ে নিয়েছেন’ 

চাঁদপুর: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান।

তিনি বলেছেন, নৌকার পক্ষে কাজ করে আমরা তৃণমূলের আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে বহু মামলার আসামি এবং নির্যাতনের শিকার।

মায়া চৌধুরী আমার কাছ থেকে এই ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কেড়ে নিয়েছেন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়িতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে এসব অভিযোগ আনেন মোহনপুর চেয়ারম্যান।

কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আমি দুই যুগেরও বেশি সময় সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। চাঁদপুর-২ আসনে ২০১৮ সালে তিনি নৌকার মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল।
এর পর থেকেই মায়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক তিক্ততায় রূপ নেয় বলে জানান তিনি।  
মোহনপুর চেয়ারম্যান বলেন, নৌকার মনোনয়ন তৃণমূলের কর্মীরা দেয় না। নৌকার মনোনয়ন দেন দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা কেন তাদের বিভাজনের বলি হব! আমি ইউনিয়নের জনগণের কল্যাণে বহু বছর আগ থেকেই কাজ করছি। কাজ করার ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন মায়া চৌধুরী। কিন্তু তিনি এমপি থেকে বাদ পড়ার পর গত সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের অনেকেই নির্যাতনের শিকার।  

কাজী মিজান আরও অভিযোগ করে বলেন, মায়া চৌধুরী আমার কাছ থেকে এই ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কেড়ে নিয়েছেন। কিন্তু জনগণের সমর্থন নিয়ে এবং সর্বস্তরের সহযোগিতায় আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। তিনি (মায়া চৌধুরী) আমাদেরকে ভাল থাকতে দিতে চান না। মায়া চৌধুরীর সঙ্গে যখন ছিলাম তখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছিলাম। এখন আমাদের বলা হয় রাজাকারের সন্তান।  
তিনি আরও বলেন, মায়া চৌধুরী গত ১৭ জুন যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু হত্যা মামলায় আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে জড়িয়ে মামলা করেন। যার ফলে আমি আড়াই মাস জেল খেটেছি। ঘটনাস্থল বাহাদুপুর গ্রামে এলাকায় মায়া চৌধুরীর অনুসারীরা ১২০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও নারী নির্যাতন করে। ভুক্তভোগীরা এ পর্যন্ত ১৩টি মামলা করেছেন। বাবু হত্যা মামলার বিষয়টির মূল রহস্য সরকারের সকল সংস্থার কাছে পরিষ্কার। সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক। আমিও এই হত্যায় যারা জড়িত তাদের বিচার চাই।

এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন মৃধা, গোলাম হোসেন, আব্দুল খালেক, ফয়েজ আহমেদ সরকার, ইউপি সদস্য আল-আমিন, শাহাদাত বেপারী, কাজী হাবীবুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বিল্লাল তপাদার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।