ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, বাড়িঘরে হামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
আ.লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, বাড়িঘরে হামলা 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদীর গঙ্গাপুর গ্রামে আবদুল মান্নান আরজু (৩৬) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।  

এ ঘটনায় তিনি আবুল কালাম খোকন ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

গতকাল শুক্রবার রাতে খোকন তার সহযোগীদের নিয়ে আরজুর বসতবাড়িতে হামলা করে। এদিন সকালে ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারে খোকন একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আরজুর ওপর হামলা করে। তাকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো অস্ত্রটি গলায় চেপে ধরে খোকন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পান আরজু।  

ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। আরজু দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক।  

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে একই এলাকার আফসার উদ্দিন হাজী বাড়ির এনায়েত উল্যার ছেলে আবুল কালাম খোকন তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর জেরে শুক্রবার সকালে খোকন একটি ধারালো চেনি নিয়ে আরজুর ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে আরজুকে মাটিতে ফেলে ধারালো ছুরি তার গলায় চেপে ধরেন খোকন। তবে উপস্থিত লোকজন আরজুকে খোকনের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এদিন রাতে খোকন তার সহযোগীদের নিয়ে আরজুর বসতঘরে হামলা করেন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দলবল নিয়ে পালিয়ে যান খোকন।  

প্রত্যক্ষদর্শী হারুন, খোকন ও ফয়েজ জানিয়েছেন, খোকন হত্যার উদ্দেশে আরজুর গলায় ধারালো অস্ত্র চেপে ধরেছে। আমরা না থাকলে তাকে গলা কেটে হত্যা করতেন খোকন।  

ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আরজু বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবেশী সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে খোকনের বিরোধ দেখা দেয়। সাজ্জাদ আমাকে বিষয়টি জানান। এ নিয়ে সালিশি বৈঠকে আমি ন্যায্য কথা বলেছি, যেটি আফসার উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে যায়। এ কারণে খোকন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শুক্রবার সকালে তিনি আমার ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেন। উপস্থিত লোকজন এগিয়ে না এলে খোকন আমাকে হত্যা করে ফেলতেন। সকালে আমাকে হত্যাচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রাতেও আমার বসতঘরে হামলা করা হয়। ঘটনাটি আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের জানিয়েছি। তারা আমাকে আইনি আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি আফসার উদ্দিন খোকন ও তার সহযোগী মো. সোহাগ (৩২), আবদুল মান্নান ওরফে মনাসহ (৫০) ৫৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছি।

তিনি আরও বলেন, খোকন খারাপ প্রকৃতির লোক। অতীতে তার নামে থানায় বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করছি।  

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শনিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে আফসার উদ্দিন খোকনকে পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।  

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম বলেন, হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি সত্য। আমি ভুক্তভোগী আরজুকে আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এদিকে, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।