ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

আদালতের অনুমতি ছাড়া খালেদার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
আদালতের অনুমতি ছাড়া খালেদার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই: কাদের আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আদালতের অনুমতি ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। কিন্তু সংবিধানে প্রচলিত আইন সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের বা নির্বাহী বিভাগের হাতে এমন কোনো ক্ষমতা দেয়নি। এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।  

তিনি আরও বলেন, সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশ মেনে তাকে চিকিৎসা করাতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধ হলে তাহলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির কিংবা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়? 

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথার সীমারেখা মানা উচিত। আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না। আ স ম আব্দুর রবের সাজা হয়েছিল সামরিক সরকারের সময়। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি।  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আল্টিমেটামেও বিএনপি ব্যর্থ। গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা গেছে। বিএনপি বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপির অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে, তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত, বক্তৃতা-বিবৃতিতে বেফাঁস কথা না বলা ভালো।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজালুর রহমান, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।