ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশটা ইজারা দিইনি, ক্ষমতা ছাড়তেই হবে: ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৩
দেশটা ইজারা দিইনি, ক্ষমতা ছাড়তেই হবে: ফখরুল ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা দেশটা ইজারা দিইনি। আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।

শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশটা ইজারা দিইনি আমরা। আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। সময় থাকতে না ছাড়লে জনগণের প্রবল আন্দোলনে আপনি ক্ষমতাচ্যুত হবেন। কতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন আপনাকে গুনতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সব সময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার এ কথা যে পুরোটাই মিথ্যা, তার বড় প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগে তিনি দেশবাসীর সামনে বলেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। অথচ আমরা দেখলাম আগের দিন রাতে ভোট হয়ে গেল। আর ২০১৪ সালে কেমন ভোট হয়েছে তাও আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনের আমরা যাইনি।

তিনি আরও বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আবারও একটি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন করতে চান। সেই লক্ষ্যে এগুচ্ছেন। কিন্তু এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছ। মানুষ এখন সব ভয়কে জয় করতে রাজপথমুখী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার শুধুমাত্র দেশের জনগণ নয়, গোটা পশ্চিমাবিশ্ব শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলছে, এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।  

দেশের সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিমাসে রিজার্ভ কমছে। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি কমছে। ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না। মানুষ ঠিকমতো খেতে পারে না। কিন্তু অত্যাচারের ভয়ে কেউ কথা বলে না। প্রতিবাদ করায় বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, ‘অনেক হয়েছে এবার যাও’ এমন স্লোগান তরুণদের কণ্ঠে জোরালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে তাকে জনগণের প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। আর একটি নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেই ভোটে অংশ নেবে বিএনপি। এদের অধীনে কোনো ভোটে যাবে না বিএনপি ও সমমনারা।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএলডিপি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৩
টিএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।