ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় মামলা হতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৩
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় মামলা হতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের হাউজগুলোকে মামলা করতে বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, মামলাটা হতে হবে।

আমার যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয় সংশ্লিষ্ট হাউজ মামলা করতে হবে। একই সঙ্গে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ফোরাম থেকে বিবৃতি আসা দরকার বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে সম্পাদকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ তারিখে সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেখানে ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের ওপর হামলার ভয়াবহতা বা নির্মমতা কি রকম ছিল সেটি সার্বিকভাবে সারাদেশের জনগণ জানে না। এটা আমরা যারা সচেতন তারা জানি। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের (সম্পাদকদের)। এবং এটার উপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, যে সমস্ত হাউজের সাংবাদিক হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, নির্মমতার শিকার হয়েছে সে সমস্ত হাউজ থেকে মামলা করা দরকার। সেটি করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। হয়তো দুয়েকটি হাউজ করেছে। বাকিরা করেনি। মামলাটা হতে হবে। একটা সেন্সেশন তৈরি হবে মানুষের মধ্যে, মানুষ জানবে। এ কাজগুলো করা দরকার। তাহলে আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হবে। আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই, বদ্ধপরিকর। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিপক্ষে আপনারা পাবলিক অপিনিয়ন বিল্ড আপ করেন। বিষয়টি পুরো পরিস্থিতির ক্যানভাসে হারিয়ে গেছে। সুতরাং এটিকে আরেকটু ভাইব্রেট করে নিয়ে আসতে হবে।

আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো হাউজ যদি চায় আপনারা তালিকা দিলে অবশ্যই আমরা এ ব্যবস্থা করতে পারি। কারণ আমাদের ট্রাস্ট ফান্ড আছে। ট্রাস্ট থেকে আমরা চিকিৎসার জন্যই সহায়তা করতে পারি। সেখান থেকে আমরা করতে পারবো।

২৮ তারিখ কার্যত রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পর হামলা, আমার জানা মতে আর কখনোই এ ঘটনা ঘটেনি। ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির এজলাসের দরজায় বিএনপি আইনজীবীরা লাথি মেরেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হলো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসপাতালে হামলা বাংলাদেশ আর কখনো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গতকাল রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের উপর হামলা হয়েছে। এগুলো যারা করছে তারা সবাই দুষ্কৃতকারী। এরা ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ডাকাত।

হামলাকারী চিহ্নিত তারা বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী। এটিকে যদি নিছক রাজনীতি বলে ট্রিট করি- ভুল হবে, ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে এবং এটির দায় আমরা সার্বিকভাবে দায় এড়াতে পারবো না।

সম্পাদকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা কথায় কথায় বিবৃতি দেয়, কারও গায়ে ঘুষি পড়লে বিবৃতি দেয় এবং কেউ একটু দৌড় দিলে বিবৃতি দেয়, তারা যে এখন নিশ্চুপ আছে সেজন্য আপনাদের বিবৃতি দিয়ে মনে করিয়ে দিতে হবে হোয়াই ইউ আর সাইলেন্ট। ইউ রাইট লেটার টু দেম। আপনাদের সম্মিলিতভাবে চিঠি লেখা দরকার, তোমরা এখন নিশ্চুপ কেন এবং সে চিঠি আবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দরকার। আপনারা চিঠি লিখবেন এবং সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশ বিষয়ে ফের বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বিবৃতিতে জানায়, দেশে রাজনৈতিক বিক্ষোভকালে মৃত্যু, গ্রেপ্তার এবং দমন-পীড়ন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে কালকে। কিন্তু সেই বিবৃতি একটা রাজনৈতিক বিবৃতি হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের কথা নাই ওখানে, আমি পড়ে দেখেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১,২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।