ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগের লক্ষ্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করা: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
আ. লীগের লক্ষ্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করা: শেখ হাসিনা গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আমাদের লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আমাদের লক্ষ্য। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করি, সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মধ্য দিয়েই কিন্তু আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে। ’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট এরা তো আসলে কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এরা মানুষ পুড়িয়ে আন্দোলন করে। মানুষকে অত্যাচার করে, মানুষ পুড়িয়ে তারা উল্লাস করে। ’

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ  ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে! পদত্যাগ করতে হবে! কী কারণে? আমরা তো বিএনপির ওপর কোনো গ্রেনেড হামলাও করিনি বা কোনো অত্যাচারও করিনি। ’

নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সকলকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী। ‘

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন শান্তিতে তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। ’

কারো নাম উল্লেখ না করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আমরা গ্রেপ্তার করবো না তো কী করব? আবার অনেকে বলে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এভাবে মানুষ মারবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে, মানুষকে নির্যাতন করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করা এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সরকারে আছি, এটা আমাদের কর্তব্য। ’

বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আমরাও আন্দোলন করেছি, আমরা তো কখনো মানুষ পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটা গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। ’

সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনো মতেই থেমে না যায়। আজকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ’

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে। ’

সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩/আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।