লক্ষ্মীপুর: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সময়ের জন্য। এ সরকার স্থায়ী নয়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী কালিদাস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যানি বলেন, গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করতে হলে তার পূর্বশর্ত হলো নির্বাচন। শেখ হাসিনার আমলে গণতন্ত্রের আগে উন্নয়নের ব্যবসা করেছে, লুটপাট করেছে। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। বিএনপি জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিচ্ছে।
এ্যানি বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপিসহ জাতিকে একত্রিত করেছেন। নিজে কিংবা দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য একত্রিত করেন নাই। মানুষ তারেক রহমানকে নিয়ে গর্বিত এবং নির্ভরশীল। এজন্য একটা নেতা দেখান- আগামীতে বাংলাদেশ কার নেতৃত্বে চলবে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার পর সারা দেশে তারেক রহমানের মতো কোনো নেতা আছে?
তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন; আমরা এককভাবে সরকার গঠন করব না। এক ব্যক্তির শাসনে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ সৃষ্টি হয়েছে। এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে। যার কারণে তারেক রহমান দেশে নতুন করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছেন। এতে সাধারণ সদস্য নিচের কক্ষে এবং ওপরের কক্ষে থাকবে শ্রেণিভিত্তিক। যার মাধ্যমে পাওয়ার ব্যালেন্স থাকবে। এ পাওয়ার ব্যালেন্সের নতুন উদ্ভাবনা দেশে তারেক রহমান নিয়ে এসেছেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান কৃষকদের জন্য খাল খনন করেছেন, সেই খালের পানি দিয়ে ফসল উৎপাদন হতো। অর্ধেক বিদেশে রপ্তানি করে এবং বাকি অর্ধেক দেশের চাহিদা মিটাত। একটা খাল খননের সঙ্গে অনেকগুলো রাজনীতি জড়িত। খাল খননের সঙ্গে রাজনীতি জীবন-জীবিকা জড়িত আত্মনির্ভরশীলতা জড়িত। এগুলো জিয়াউর রহমানের কারিশমা, তিনি হঠাৎ করেই নেতা হননি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন না, হাসিনা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য সে প্রক্রিয়াতে গেছেন। কিন্তু হাসিনা উড়াল দিয়ে চলে গেছেন। আর খালেদা জিয়া ওনার জায়গায় আছেন। মানুষের কাছে খালেদা জিয়া সম্মানিত হয়েছেন।
হাসিনা রাজনীতি পরিবারের নাকি সদস্য ছিলেন। তার বাবা অনেক পুরোনো রাজনীতিবিদ। হাসিনা গত ১৭ বছর প্রকৃত রাজনীতি করেননি। স্বাধীনতার পরও তার বাবা প্রকৃত রাজনীতি করেননি। আমরা রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার দেখেছি। গত ১৭ বছর মানুষ রক্ষীবাহিনী থেকে ভয়াবহ নির্যাতন-অবিচার দেখেছে।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, হাসিনা এমনি এমনিতে উড়াল দেননি। সে গণশত্রুতে, গণদুশমনে পরিণত হয়েছেন। জনদুশমনে পরিণত হয়েছে বলেই মানুষের রাজনীতি করতে পারেননি, পারবেনও না। হাসিনার নেতৃত্বে দেশে খুন,গুম, অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা-হামলা হয়েছে। কার ওপর অত্যাচার হয়নি? প্রত্যেকটা মানুষ অত্যাচারিত-নির্যাতিত।
ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. খালেদ হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া।
প্রধান বক্তা ছিলেন, কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ।
বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম এ হাশেমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসআরএস