ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়: কৃষিমন্ত্রী ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতো তাহলে তাদের স্যালুট দিতাম, অভিবাদন জানাতাম, স্বাগতম জানাতাম।

কিন্তু তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, ভণ্ডুল করতে চায়। তারা (বিএনপি) জানে, জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া নির্বাচন করতে পারবে না। জেলের আসামি তিনি। তার মাও নির্বাচন করতে পারবে না। তাই তারা নির্বাচন চায় না।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে আন্তর্জাতিক মতুয়া প্রতিনিধি সম্মেলনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।  

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করে হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন কেন্দ্রীয় কমিটি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় ছিল। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। তারা ২০০১ সালে নির্বাচনে জেতার পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাদের ঘরবাড়ি লুট করেছে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি লুট করেছে।

অনেকে এখনও বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকার করে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, এখনও এক ধরনের ধর্মান্ধ মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে বলে, খুনি জিয়াউর রহমান না কি স্বাধীনতার ঘোষক। একটি ঘোষণা পাঠ করেছে, জেনারেল আর্মির একজন মেজর ছিলেন, তিনি না কি স্বাধীনতার ঘোষক। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সোহরাওয়ার্দীর মাজারে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আজ থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম হবে বাংলাদেশ। আর জিয়াউর রহমান খুনিরা না কি স্বাধীনতার ঘোষক!

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময় ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তিই ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা। সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী একটি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তার ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক ন্যায় ও আইনের শাসনের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এ আদর্শের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কখনও আপস করেনি। এ আদর্শ থেকে সামান্যতম বিচ্যুতি আমাদের ঘটেনি।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলতেন, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে লালন করে, ধারণ করে, তারা পশুতুল্য। আমি তাদের ঘৃণা করি। বহুবার বঙ্গবন্ধু এ কথা বলেছেন। আজও এটি প্রযোজ্য। আজও যারা দেশে ধর্মকে ব্যবহার করে, যারা ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে তারা আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়, আমরা হিন্দুদের লালন করি, আমরা ভারতের দালাল। আমরা ভারতের দালাল না, পাকিস্তানেরও দালাল না, আমরা মানবতার পক্ষে। এটিই আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, একসময় জাতের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ছিল, বৈষম্য ছিল। মানুষকে নিচু চোখে দেখা হতো, অস্পৃশ্য বলে নিন্দা করা হতো। এখন এ অবস্থা নেই। এখন সব স্কুল-কলেজে, সব প্রতিষ্ঠানে সামাজিক অনুষ্ঠানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মতুয়া, অস্পৃশ্য, নিম্ন শ্রেণি, নমশুদ্র একসঙ্গে বসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাধি ভোগ করি, একসঙ্গে বসে খাই। সামাজিক ক্ষেত্রে এ পরিবর্তনে হরিচাঁদ ঠাকুর অনন্য অবদান রেখেছেন।

হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের সভাপতি মহা-মতুয়াচার্য পদ্মনাভ ঠাকুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।  

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন যুব সংসদের সভাপতি মতুয়াচার্য সম্পদ ঠাকুর, হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের নির্বাহী সভাপতি মতুয়ামাতা শ্রীমতি সুবর্ণা ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিশির কুমার বড়াল, উপদেষ্টা মাহমুদ হোসেন দীপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতুয়া দেবাশীষ বিশ্বাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।