ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগের এমপি হতে চান বিতর্কিত আগারওয়াল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
আ. লীগের এমপি হতে চান বিতর্কিত আগারওয়াল

ঢাকা: তিনি কখনো রাজনীতি করেননি। এলাকায় নেই তার যোগাযোগ।

নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও সম্পৃক্ততা নেই। পেশায় তিনি একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময়ে তিনি বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। নাম তার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

বিতর্কিত এই ব্যবসায়ী দিলীপ আগরওয়ালাও এখন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে শুরু হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, আপন চাচার হাত ধরে প্রায় ১৫ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় আসেন আগরওয়ালা। ডায়মন্ডের নামে তিনি ভেজাল-নকল জুয়েলারি বিক্রি করে ক্রেতাসাধারণের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। যে চাচার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, সেই চাচাকেই তিনি বের করে দেন। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও ডায়মন্ড চোরাচালানের মতো সব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আগে কখনো দল করেননি। তিনি এলেন আর হয়ে গেলেন, এমনটা হবে না কখনো। স্বর্ণ চোরাকারবার বা অন্যান্য যা কিছু আছে, তার সব অপকর্ম সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল। এটা দলের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত জানেন। তিনি এখানে নমিনেশন পাবেন না। এলাকার লোকজন মেনে নেবেন না।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রভাবশালী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তিনি ছবি তোলেন। সেই ছবিগুলো পরে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন সুবিধা অনৈতিকভাবে হাতিয়ে নেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার পরিবার বিগত কোনো সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এমনকি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যক্রম দিলীপ কুমার আগরওয়ালার অফিসে পরিচালনা করা হয়েছিল। বিএনপি ২০০৮ সালে পরাজিত হওয়ার পর সে সুযোগসন্ধানী হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করে। ইতোপূর্বে জাতীয় পার্টির আমলে, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জোহা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানকেও জেলে পাঠায়।

বিতর্কিত মডেল পিয়াসা ও পাপিয়া গ্রেফতারের পর পুলিশের জেরার মুখে তারা দিলীপ আগরওয়ালার নাম বলেছিলেন। ডায়মন্ড চোরাকারবারে দিলীপের জড়িত থাকার বিষয়টি তারা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তারা ছিলেন দিলীপের ডায়মন্ডের বাহক।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।