ঢাকা: সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সপ্তম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী, পল্টন, গুলিস্তান, সায়েদাবাদসহ কয়েকটি জায়গায় সরেজমিনে ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।
সকাল থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল ও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার সব দোকানপাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানই যথারীতি খোলা। চলছে সব ধরনের যানবাহনও। গণপরিবহন থেকে ব্যাক্তিগত গাড়ি সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে।
তবে, যাত্রী কম থাকায় কিছুটা কম চলছে দূরপাল্লার বাস। এমন তথ্য জানাচ্ছেন বাসচালক ও কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা। জানতে চাইলে মহাখালী থেকে টাঙ্গাইল ছেড়ে যাওয়া তুহিন সুপার বাসের চালক শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি চালাচ্ছি। তবে, তুলনামূলক যাত্রী কিছুটা কম। তাই বাসও কম ছাড়ছে।
জলসিঁড়ি পরিবহনের হেল্পার আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধ আর মানার সুযোগ নেই। জীবন-জীবিকার প্রশ্ন এটা। অবরোধ অন্যরা করুক। আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের পেট চালাতে হবে।
মহাখালী এলাকার মাহবুব জেনারেল স্টোরের মালিক মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে তো হয় না। কয়দিন মানতে পারব। অবরোধ তো টানা চলছে।
একই এলাকার ফুটপাতের শাক-সবজি বিক্রেতা হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, সবকিছুই স্বাভাবিক আছে। আমরা কেন শুধু-শুধু অবরোধ মানব? আমরা গরিব মানুষ। বসে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।
অন্যদিকে, পল্টন, গুলিস্তান, কমলাপুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানেও অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। স্বাভাবিকভাবেই চলছে সব পরিবহন।
এছাড়া গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী এলাকার বাস স্ট্যান্ডগুলো থেকেও বিরতি দিয়ে কম-কম করে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে বলে জানা গেছে। তবে, গণপরিবহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে এসব এলাকায়।
আগামীকাল ২৮ নভেম্বর ভোর ৬টায় চলমান সপ্তম ধাপের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
এমকে/এমএম