ঢাকা: স্বৈরাচারের ভিত্তি উচ্ছেদ হয়নি, নতুন করে ‘উন্নয়ন স্বৈরাচার’ দেশবাসীর কাঁধে চেপে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের স্মৃতিস্তম্ভে সিপিবির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এরশাদ স্বৈরাচার উচ্ছেদ হলেও স্বৈরাচারের ভিত্তি উচ্ছেদ হয়নি, নতুন করে ‘উন্নয়ন স্বৈরাচার’ দেশবাসীর কাঁধে চেপে বসেছে। তারা কর্তৃত্ববাদী শাসনের নতুন ভিত্তি রচনা করছে। স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ভিত্তি উচ্ছেদ করেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক দশক ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আন্দোলনে বিজয়ের পর বিএনপি-আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলেও শহীদ মিলনসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ও অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের বিচার করেনি। ওই পতিত স্বৈরাচার আর তার দোসরদের নিয়ে নীতিহীন রাজনীতি করে তারা নতুন নতুন কায়দায় স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছে। তাদের ভিত্তিকে পাকাপোক্ত করেছে। তারা ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট তিন জোটের রূপরেখা ও আচরণবিধি অনুসরণ করেনি। দেশে আজ সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে, চলছে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন, যা চলমান দুঃশাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিন জোটের রূপরেখা ও আচরণবিধি আজও প্রাসঙ্গিক। এখানে অবাধ নির্বাচন, দক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ, আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে কথা ছিল। নীতিহীন রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে পরিত্যাগ করে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করেছে। নীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে একতরফা নির্বাচন বর্জন, দুঃশাসন হটানো ও নীতিনীষ্ঠ রাজনীতিকে সামনে রেখে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদের, রতন দাস, স্বপন দাশ, ছাত্রনেতা দীপক শীল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ
