ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী জি এম কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী জি এম কাদের জি এম কাদের

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির রংপুর-৩ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রওশন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি (সাদ এরশাদকে) মনোনয়ন না দিয়ে এরশাদের এই আসনে দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের নিজেই লড়বেন। এবার তিনি নির্বাচন করবেন রংপুর-৩ (সদর) এবং ঢাকা-১৭ এই দুইটি আসন থেকে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বনানীর জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ঘোষণা শেষে তিনি বিষয়টি জানান।

এদিকে রংপুর-৩ (সদর) আসনটি জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ও রওশন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ রংপুর-৩ (সদর) আসন থেকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  

এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের নিজ ভাইয়ের আসনে লড়বেন। তাই এই আসনটি নিজ ভাতিজার জন্যও ছাড়তে নাজার। যে কারণে সোমবার (২০ নভেম্বর) থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু প্রথম দিনই ভাতিজা সাদ এরশাদের আসন (রংপুর-৩) থেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিন দলের মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমে বলেছিলেন, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। এতে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। প্রয়োজনে সাদ এরশাদকে অন্য যেকোনো জায়গা থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর সাদ এরশাদ তো দলের কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন না, তাকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই।

এদিকে রংপুরকে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বলা হয়। এর মধ্যে রংপুর-৩ আসন জাতীয় পার্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আসন। এই আসনে এরশাদ নিজে সবসময় নির্বাচন করতেন। এই আসনে এরশাদের এমন জনপ্রিয়তা ছিল, মানুষের মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, জাতীয় পার্টির নামে কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও সেই কলাগাছ পাস করবে। আর সেই আসনেই নির্বাচন করবেন ভাই জি এম কাদের।  

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বর্তমানে লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য হলেও তিনি এবার সেই আসন থেকে নির্বাচন করবেন না।  

মূলত এর পরথেকেই জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে এক প্রকার বিরোধ দেখা দেয়। এর ফলশ্রুতিতে রওশন এরশাদ ও তার ছেলে সাদ এরশান এবার কোনো জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচন করতে কোনো আসন থেকেই মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি।

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে গুলশানের কার্যালয়ে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে নিজের মন্তব্য তুলে ধরেন বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহর মাধ্যমে।  

রওশন এরশাদের পক্ষে গোলাম মসীহ জানান, দলের ভাঙ্গনের অবস্থায় যত দিন পর্যন্ত ঠিক না হবে রওশন এরশাদ নির্বাচনে যাবেন না। জি এম কাদের ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। রওশন এরশাদ কোনোদিন কারো দয়ার আসনে যায়নি। আগামীতে দয়ার ইলেকশন তিনি করবে না। তারা রওশনের কোনো কথাই রাখেননি। তার যোগ্যতা দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে ভোট করেছেন। দলের এই ভাঙনের দায়ভার জি এম কাদেরকে নিতে হবে।

অন্যদিকে দলের বহিষ্কৃত নেতা ও রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা মনোনয়ন পাননি। তার আসনে জি এম কাদেরের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও এই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডল।  

রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় জাপার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা সেলিম।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের ছোট ভাই জেলা জাপার সদস্য আনিছুর রহমান।

রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে কেন্দ্রীয় সদস্য নূরে আলম মনোনয়ন পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
ইএসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।