বরিশাল: আন্তর্জাতিক মানবধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে নেতৃবৃন্দকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এছাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিবস পালনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
রোববার বেলা ১১টার পর থেকে বরিশাল নগরীর সদর রোডে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন বলেন, ফোরামের বরিশাল জেলা শাখা মানবধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনের আয়োজন করে। তারা মিছিল নিয়ে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর থেকে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মিছিলটি সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের কাছাকাছি পৌঁছুলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আইনজীবী নেতৃবৃন্দকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
মিছিলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট সুফিয়া বেগম, অ্যাডভোকেট শহীদ হোসেন, অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, কোতয়ালি মডেল থানার এসআই আরাফাত হাসান আইনজীবী সমিতির একাধিক নেতার টাই ধরে টানা হেঁচড়া করেন। এক পর্যায়ে সবাইকে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বরিশাল মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা জাহিদুর রহমান রিপন বলেন, আন্তর্জাতিক মানবধিকার দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে দলীয় কার্যালয়সহ আশে-পাশের এলাকা পুলিশ ঘিরে রাখে। পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে জ্যেষ্ঠ আইনজবীবী গোলাম আহাদ চৌধুরী আলাল, সাবেক সংসদ সদস্য এম মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, গুম হওয়া ছাত্রদলের নেতা দুই ভাই ফিরোজ খান কালু ও মিরাজ খানের মাসহ নেতৃবৃন্দরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। তখন কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ এসে তাদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এতে মানববন্ধন পণ্ড হয়েছে। পরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন হয়।
বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ বলেন, একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও দুই সন্তান গুম হওয়া মাসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার জন্য উপস্থিতি হয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ মানবধিকার লঙ্ঘন করে আমাদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে। তাদের আচরণে এটা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, পুলিশের নিজস্ব কোনো কিছু নেই। তারা দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলার বাখেরগঞ্জের বেশ কয়েকজন মহিলা নেত্রীসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের সদস্যরা সদররোডস্থ সৈয়দ ইমান আলী টাওয়ারের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এক প্রর্যায়ে মহিলা নেতৃরা পুলিশের কথায় কর্ণপাত না করে দাঁড়িয়ে থাকলে ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই আরাফাত হাসান বলেন, সড়কে অবস্থান নিয়ে নাশকতা করতে পারে এই আশংকায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো আইনজীবী কিংবা নেতাকর্মীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি। তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমএস