যশোর: যশোরের মনিরামপুরে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর তিন সমর্থককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রতীকের এক কর্মী তাদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুয়াদা বাজারে তাদের মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মারধরের শিকার তিনজন হলেন—কুয়াদা এলাকার সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম সরদার, লিটন হোসেন ও মকলেস উদ্দিন।
মারধরের শিকার নজরুল ইসলাম বলেন, কুয়াদা বাজারে আমার দোকান ঘরে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস হয়েছে। মকলেস অফিস পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নৌকা প্রতীকের কর্মী আসিফ কয়েকজনকে নিয়ে মকলেসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আবারও বাকবিতণ্ডা হলে আসিফ তাকে চড়থাপ্পর মারে। আমি প্রতিবাদ করলে আসিফ আমাকে ঘুষি মারে। এ ঘটনা দেখে লিটন এগিয়ে এলে তাকেও চড়থাপ্পর মারে আসিফ। ’
ভুক্তভোগী নজরুল আরও বলেন, এরপর আমি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে থানা থেকে পুলিশ আসে।
উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনজুর আক্তার বলেন, আসিফ যুবলীগের কর্মী। মকলেস বিএনপির সমর্থক। সে ঈগলের অফিস করায় বাকবিতণ্ডার জেরে আসিফ তাকে দুটি চড় মেরেছে। পরে লিটন এগিয়ে গেলে সেও মার খেয়েছে। নজরুল ভাই সিনিয়র মানুষ। আসিফ তাকে মারেনি। ঠেকাতে গিয়ে হয়তো তিনি আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আসিফ এটা ঠিক করেনি। তার এমন কাণ্ডে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলী বলেন, আমার তিন সমর্থক মারধরের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী আসিফ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
ইউজি/এমজেএফ