ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

স্ত্রীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
স্ত্রীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। আগামীকাল লাশ দেশে আসলে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আপনারা সবাই আমার স্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি বক্তৃতা দেওয়ার পর্যায়ে নেই। তারপরও এসেছি। কারণ আগে দুইবার এ জনসভা বাতিল করা হয়েছে। আজ বাতিল করা হলে আপনারা ভুল বুঝতেন।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন ভোর ৩ টা ২৪ মিনিটে ভারতের চেন্নাইতে আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন। সেখান থেকে লাশ আনার চেষ্টা চলছে। আমার ছেলে সেখানে রয়েছে। এত কষ্টের মাঝেও আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আপনাদের সঙ্গে যদি কথা না বলি, তাহলে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা সঠিকভাবে পালন করা হবে না।

চাঁদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এইচএম জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সদর আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত এ প্রাথী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছেন। এরআগেও মনোনয়ন দিয়েছেন। এমপি হয়েছি, মন্ত্রীও করেছেন।

কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটে বেরিয়েছি। নদীর ভাঙনে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন সদর উপজেলার লামছরিতে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে ১০০ থেকে ১৫০টি শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে, সেখানে চাকরি আপনার ছেলে মেয়েরাই পাবে। আপনার যদি অন্য কাউকে নির্বাচন করে এমপি বানান, তাহলে এগুলো সব থমকে যাবে।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরিশাল আসবেন জানিয়ে বলেন, তিনি কেন বরিশালকে সিলেক্ট করেছেন। আমি মনে করি, আমার ওপর তার আস্থা রয়েছে। আস্থা আছে বলেই তিনি বরিশালে নির্বাচনী প্রচারণার সভা করবেন। আমি চাই বঙ্গবন্ধু উদ্যানে লোকে লোকারণ্য হোক। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করতে চাই। বাংলাদেশের যদি উন্নয়ন চান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজালুল করিম, অ্যাডভোকেট কেবিএস আহম্মেদ কবীর, অ্যাডভোকেট আনিসউদ্দীন আহমেদ শহীদ, টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান।  

আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।