ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: মাসুম বিল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: মাসুম বিল্লাহ

নারায়ণগঞ্জ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন সরকারের পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। সরকার নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তামাশার নির্বাচনে ভোট দিতে ভাতাভোগীদের জিম্মি করার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।  

একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার একটি জোর-জবরদস্তি ও তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ডিআইটি চত্বর থেকে ২নং রেল গেট, প্রেসক্লাব ও চাষাঢ়া এলাকায় গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।

প্রধান অতিথি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, সরকার দলীয় নেতারা মানুষকে হুমকিধামকি দিয়ে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। ভোট না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ থাকবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। এসব হুমকিধামকি সরকারের প্রতি মানুষের দৈন্য প্রকাশ পাচ্ছে।  

তিনি বলেন, নির্বাচনে সরকার কে হবে, তা কেউ জানতে চায় না। সবার প্রশ্ন, বিরোধী দল কে হবে। সরকারের এই তামাশায় মানুষ অংশ নেবে না। এই সরকারকে সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগ-বাঁটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। সরকারের নির্বাচন নামের খেলায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতার কার্ডসহ নানা কার্ড জমা নিয়ে ভাতাভোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে।

মানসুর আহমাদ সাকী বলেন, বিরোধী দল ও মতের কোন তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
এমআরপি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।