ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আ. লীগ দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায়: ১২ দলীয় জোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
আ. লীগ দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায়: ১২ দলীয় জোট

ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তের নাম ‘স্বাধীনতা’ আর চলমান আন্দোলনের রক্তের নাম ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার’। তাই এই আন্দোলনেও স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণ বিজয় লাভ করবে এমন মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

 

তারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন স্বৈরশাসক সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আরেকটি রক্তঝরা সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের শান্তি চায় না। মূলত দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায় আওয়ামী লীগ।  

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণকালে নেতারা এসব কথা বলেন।  

এসময় শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ এবার চূড়ান্ত নব্য-স্বৈরশাসকের রূপ ধারণ করেছে। তাদের সর্বশক্তি দিয়ে হটাতে হবে। অন্যথায় দেশ-জাতি নিরাপদ থাকতে পারবে না।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বাঁচার এখন একমাত্র পথ, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এছাড়া সরকারের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।  

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নাই, তবে শিগগিরই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে।  

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ভোট চোরের স্বীকৃতি পেয়েছে আওয়ামী সরকার। এবার নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, আমাদের স্বাধীনতার শিকড় ধরে টান দেবেন না।

তিনি বলেন, গুম-খুনসহ গত ১৫ বছরে বিরোধীদের ওপর বেপরোয়া নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে এবার ভোট বর্জন করা হচ্ছে।  তবে কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগের রাজনীতি কালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।