বগুড়া: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) ও বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীদের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে৷
এ দুই আসনের তিনটি উপজেলায় সার্বিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বগুড়া-২ আসনের জাপার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এবং বগুড়া-৩ আসনের জাপার প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। তারা দুজনই এ দুই আসন থেকে দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন৷
গত ১০ বছরে তাদের নেতৃত্বে এ তিন উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার তাদের নির্বাচিত করে উন্নয়ন এগিয়ে নিতে চান তিন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এবং উচ্চ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী, শহীদ পরিবারের সন্তান নুরুল ইসলাম তালুকদার৷
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন নুরুল ইসলাম তালুকদার দলীয় কাজে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার তারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারা দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি হয়ে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন।
অবহেলিত তিন উপজেলার রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট সংস্কারসহ নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো, চলাচলের অনুপযোগী রাস্তার উন্নয়নসহ তিন উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক রাস্তা নির্মাণ করেন তারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, একাডেমিক ভবন নির্মাণ, আইসিটি ভবন নির্মাণসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেন তারা।
বগুড়া-২ আসনের শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা, সৈয়দপুর, বিহার, বুড়িগঞ্জসহ অন্যান্য ইউনিয়নের অনেক রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন৷ অনেক কাজ চলমান রয়েছে৷
বগুড়া-৩ আসনের দুপচাঁচিয়ায় ধাপ নিমতলা থেকে কাথালী দক্ষিণ পাড়া, ভালী থেকে হরিনগাড়ী, কাথহালী থেকে ভালী, কোলগ্রাম রাস্তাসহ দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৮০টির বেশি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদার। এছাড়া আদমদীঘি উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাসহ প্রায় ৭০টি রাস্তার উন্নয়ন করা হয়েছে।
বগুড়া-২ ও ৩ আসনের তিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন তারা। নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটর করে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করেছেন। স্কুল কলেজের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন। তারা নিজেরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুফল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে আইসিটি ভবন নির্মাণ, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তারা।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার বড়নিলাহালী বেড়াগ্রাম কলেজ, কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, উনাহত সিংড়া হাইস্কুল ও মাদরাসা, তালোড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলতাফনগর মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, চাপাপুর জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, কুন্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) ও বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া- আদমদীঘি) উপজেলার জনগণ জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তদারকি করে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করেছেন জাপার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম জিন্নাত এবং অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। তাদের নেতৃত্বে সরকারি বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন করে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে উন্নয়নের সুফল।
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নির্মূল করতে তারা কাজ করেছেন। উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়াসহ শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে এ তিন উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এবং নুরুল ইসলাম তালুকদারের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
কেইউএ/এসআই