ঢাকা: একদলীয় সরকারের অধীনে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য মহাবিপদ সংকেত ডেকে আনবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ৭ তারিখ নির্বাচন হয়ে গেলে বিশ্বের কালো তালিকায় স্থান পাবে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে বিবিধ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে!
জোট নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বমানের স্বৈরাচার।
বুধবার (৩ জানুয়াারি) দুপুরে প্রেসক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় 'শেখ হাসিনার পদত্যাগ -তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচনে যারা এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে সহযোগিতা করবে তাদেরও একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি দেশবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাইকে ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী নাটকের দর্শক হবেন না। ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি -জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মূলত ১৫ আগস্টের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে গত পনের বছর ধরে দেশে জুলুম-অত্যাচার ও দুঃশাসন কায়েম করেছে। যার প্রথম আঘাত পিলখানায় নির্মম সেনা হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। তারপর সংবিধানকে টার্গেট করে দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, খালেদা জিয়াসহ সব নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি, ১২ দলীয় জোট গণ- আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার কে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।
উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) কাজী মোঃ নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির মোঃ ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আবদুল মালেক চৌধুরী, মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
টিএ/জেএইচ