ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণের নীরব ‘ভোট প্রত্যাখান’ সরকারের পরাজয়: ১২ দলীয় জোট 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
জনগণের নীরব ‘ভোট প্রত্যাখান’ সরকারের পরাজয়: ১২ দলীয় জোট 

ঢাকা: আওয়ামী লীগের 'ডামি' নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে থাকবে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি।

দেশের মানুষ এ জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তাই জনগণের নীরব 'ভোট প্রত্যাখান' জাতির বিজয় এবং  ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।

নেতারা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এ সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ এক দফার যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।  

এ সময় ভোট বর্জন, হরতাল ও গণ-কারফিউ পালন করায় দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

রোববার (৭জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব,পল্টন এলাকায় 'শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত হরতাল ও গণ-কারফিউর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আজকের কলঙ্কজনক দিন থেকে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ভোটে দেশের মানচিত্র জাহান্নামে যাক, অর্থনীতি জাহান্নামে যাক, গণতন্ত্র জাহান্নামে যাক এ সরকারের কিছু আসে যায় না। তবে আজকে থেকে দেশে অর্থনৈতিক ভয়াবহ সংকট শুরু হবে। এ প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, ভোটের হার খুবই নগণ্য কিন্তু সন্ধ্যার সময় গণভবন থেকে ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হবে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তাই পাঠ করে শুনাবে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনা ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছে। জনগণ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি। কারণ এ সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও  জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট চুরির পুরানো অভ্যাস বদলাতে পারেনি। এশার আজান দিয়ে তারা ভোট চুরি শুরু করেছে এবং তাহাজ্জুদ নামাজের আগেই ভোট ডাকাতি শেষ করেছে।  

তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোট বর্জনের উচিত জবাব আওয়ামী লীগের মুখের ওপর বসিয়ে দিয়েছে। হরতাল ও গণ-কারফিউ জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে পালন করেছে। তাদের মনে রাখা উচিত বাংলার মজলুম মানুষেরা 'পরাজয়' মানে না। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

গণসংযোগ ও  পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম,জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান,  বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ ও ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।