ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন হবে: নূর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৪
নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন হবে: নূর

ঢাকা: সরকার পতনে নির্বাচন বর্জনকারী দলসমূহকে নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) ‘গণতন্ত্র হত্যায় একতরফা প্রহসনের ভোটের প্রতিবাদে’ সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

সে সময় এ কথা বলেন নূর।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গণদাবি উপেক্ষা করে জনবিচ্ছিন্ন সরকার দেশে একদলীয় শাসন-বাকশাল কায়েম করে এই একতরফা নির্বাচন করেছে।

তিনি বলেন, নিজেরা-নিজেরা নির্বাচন করেছে সেখানেও কেন্দ্র দখল, জোরজবরদস্তি করে ব্যালটে সিল মারা, শিশুদের দিয়ে ভোট দেওয়া, গোলাগুলি, মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দেশের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষ ভোট বর্জন করে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

নূর বলেন, সিইসি বিকেল ৩টার সময় একবার বললেন ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে, এক ঘণ্টা পর বললেন ৪০ শতাংশ। প্রকৃত অর্থে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, লোকজন ভোট না দিলেও তারা ৬০-৪০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখাবে। কাজেই ভোট কত শতাংশ পড়েছে, কারা ভোট দিয়েছে, কারা প্রার্থী হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার অবকাশ নাই। এই নির্বাচনই অবৈধ। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে জনমতের বাইরে এই ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে নূর বলেন, সিনিয়র নেতা, মন্ত্রীদের কথা শুনে লজ্জা লাগে। ওবায়দুল কাদের বললেন, ভোটের মাধ্যমে নাকি তাদের বিজয় হয়েছে। তর্কের খাতিরে আপনাদের কথা যদি ধরেও নেই যে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, তাহলেও তো সংখ্যা গরিষ্ঠ ৬০ শতাংশ মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কিভাবে বলেন, জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছে?

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ভারত বিরোধিতা সহ্য করা হবে না। সহ্য না হলে আপনি ভারত চলে যান।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থায় সর্বত্র ভারতীয় লোক রয়েছে। যারা দেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায়। ৭ জানুয়ারি ফেলানি হত্যা দিবস, সেই দিন কেন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলো? আগে/পরেও তো করা যেতো। ফেলানি হত্যাসহ সীমান্ত হত্যার কথা মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতেই ৭ জানুয়ারি ফেলানি হত্যা দিবসে এই প্রহসনের ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে।

নূর আরও বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালে ভোটের পর সেভাবে আন্দোলন হয়নি। বিএনপিসহ সবাইকে বলব, এবার আর ভুল করা যাবে না। ৮০ থেকে ৯০ ভাগ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানেই এই সরকারের পতন হবে। বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী সব দলসমূহকে নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।

দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, এখন বিরোধীদল খোঁজা হচ্ছে। কে হবে বিরোধীদল, জাতীয় পার্টি নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা? বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তবে উত্তর কোরিয়া মডেলে নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে।  

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২৪     
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।