ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নৌকা কারচুপি করেছে, দাবি আওয়ামী লীগ নেতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
নৌকা কারচুপি করেছে, দাবি আওয়ামী লীগ নেতার

লালমনিরহাট: প্রশাসনের সহায়তায় নৌকা ভোট কারচুপি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হক।

মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ভোট কারচুপি অভিযোগ তুলেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক।

এরআগে, ভোট গ্রহণের দিন বিকেলে ভোটের ফলাফল বর্জন ও ভোট স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি। আমার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের শ্যালকসহ ১৮ জন নিকট আত্মীয়কে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাদের পরিবর্তন করার আবেদন করেও কোনো কাজে আসেনি।

স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হলেও ভোটের দিন সকালে নৌকার পক্ষ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। নৌকার পক্ষ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ভোট কারচুপি করে পরিকল্পিতভাবে জনগণের রায়ের পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত করেছে। ভোটের আগের রাতেও দেশের সব গোয়েন্দা বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়, গণমাধ্যম, এনজিও জরিপেও আমার ভোট ছিল ৭০/৭৫ শতাংশ। অথচ সকালেই আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারাই নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেছেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলেও দাবি করেন সিরাজুল হক।

একটি ভোট কেন্দ্রের সরেজমিন দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে সিরাজুল হক বলেন, কালীগঞ্জের দলগ্রাম এক নম্বর কেন্দ্রে দুপুর ২টায় পরে কাস্টিং দেখানো হয় ৪৫০ ভোট। একই কেন্দ্রে ৪০ মিনিট পরে দেখানো হয়েছে ৭৮০ ভোট। যেখানে ভোটার উপস্থিতি কম। সেখানে ৪০ মিনিটে ৩৩০ ভোট কিভাবে কাস্টিং হয়? এটাই প্রমাণ করে এ ভোটে জনগণের রায় প্রকাশ পায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচন করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভোট শুরুর আগে থেকেই বলা হয়েছে পর্যাপ্ত তৎপরতা থাকবে প্রশাসনের। কিন্তু বাস্তবে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশ ছিল ভোটে কেন্দ্রের পাহারায়। প্রশাসনের সহায়তায় নৌকার কারচুপি করা এ ভোটের ফলাফল আমি প্রত্যাখ্যান করছি। এ আসনের জনগণ আমার সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমিও জনগণের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তৃতীয়বারের মতো নৌকার মাঝি হিসেবে লালমনিরহাট-২(আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঈগল প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।