বরিশাল: শহীদ অ্যাডভোকেট আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের (বরিশাল ল’কলেজ) পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে লাঞ্ছিত ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা জামাল খোকন জানান, অনেকদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার কলেজ খুলেছে। সন্ধ্যার দিকে তিনি (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) ও মহাবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন কক্ষে (অধ্যক্ষের) বসে ছিলেন। হঠাৎ অপু ও আজিম এসে কক্ষে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে টাঙানো ছবি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। তখন বাঁধা দিলে হামলাকারীরা আনোয়ার হোসেনকে টেনে হিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এসময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তিনিসহ শিক্ষকদেরও গালাগালি ও লাঞ্ছিত করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার দৃশ্য দুই ছাত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করছিলো। হামলাকারীরা তাদের মেরে মোবাইল দুটি ছিনিয়ে নেন।
হামলার শিকার আইন মহাবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে কক্ষে বসা ছিলাম। তখন হঠাৎ করেই স্থানীয় আরিফুর রহমান অপু ও আসাদুজ্জামান আজিমসহ বেশ কয়েকজন সেখানে আসেন। ভেতরে প্রবেশ করেই তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে অশোভন কথাবার্তা বলে। এর প্রতিবাদ করায় মারধর করে জামা-প্যান্ট ছিড়ে ফেলেছে।
তিনি আরও বরেন, ছাত্রদেরও মারধর করে এবং হামলাকারীরা অধ্যক্ষের কক্ষে ভাঙচুর করেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল শহীদ অ্যাডভোকেট আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ নেতারা আইন মহাবিদ্যালয়ে ছুটে যান।
সেখানে সাদিক আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, বরিশাল শান্তির শহর ছিল। সেখানে অশান্তি মোটেও কাম্য নয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্বান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাদিক আবদুল্লাহ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুর রহমান অপু জানান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নানা কাজের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে সে (অপু) অডিট অফিসারের কাছে গিয়েছিলেন। তাই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অপপ্রচার করছেন তারা।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
এমএস/এসএম