ফরিদপুর: ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে মিথ্যা অভিযোগে অব্যাহতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে লায়লা আউয়াল মার্কেটের অফিস কক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবু বকর সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, গত ৮ জানুয়ারি কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি এবং বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু যে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তিনি বলেন, গত রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে তার এলাকা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তার আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকার বিএনপি কর্মী সমর্থক সহ-সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ফলে স্থানীয় মুরুব্বিরা তাকে ফোন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিষয়টি দেখতে বলেন। তাদের কথামতো তিনি সেখানে যেয়ে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা না করেন সে অনুরোধ করে উপস্থিতদের সামনে একটি বক্তব্য দেন। কিন্তু স্থানীয় একটি পক্ষ ওই ভিডিও ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে মিথ্যা অভিযোগ জানায়।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিএনপির রাজনীতি করার ফলে তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিক লীগের এক নেতা বাদী হয়ে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার ১৪ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি তিনি। এ পর্যন্ত একাধিকবার জেল খেটেছেন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্বাচন বর্জনের লক্ষ্যে তিনি কৃষক দলের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছেন।
তার দাবি, ফরিদপুর শহরের রাজনীতিতে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি ওই এলাকার নেতৃত্ব দেন। কিন্তু দলের মধ্যে আন্তঃকোন্দলের ফলে একটি পক্ষ তাকে দুর্বল করতে বিষয়টি রংচং মাখিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভুল বুঝিয়েছে। তিনি সঠিক ঘটনা বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে তাকে দলে পুনর্বহালের দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মামুন-অর-রশীদ মামুন।
অন্যের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সহ-সভাপতি আবু তাহের, সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম মোল্যা, মিলন খন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবু সায়ীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
এসআরএস