ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

একদিন গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে: ফারুক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
একদিন গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে: ফারুক

ঢাকা: একদিন না একদিন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় নিশ্চয় হবে বলে মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, যেদিন গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে সেদিন থেকে বাংলাদেশের গরিব মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে।

গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কথা বলতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আজ এমন একটি দিন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে সব সরকারি-বেসরকারি মানুষকে এক দলে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জাতীয় সংসদে ১১ মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আমরা এই কালো দিবসে আজকে দাঁড়িয়ে আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, গত ৭ জানুয়ারি যে তামাশার নির্বাচন আপনারা (সরকার) মঞ্চস্থ করেছেন, দেশের জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, বরং প্রত্যাখ্যান করেছে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন আবার পঁচাত্তর সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলার আকাশে আবারও কালো ছায়াকে দেখতে পাচ্ছি। বাংলার আকাশে আবারও এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার আভাস মিলছে। তাই আজকে রাজপথে দাঁড়িয়ে আবারও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই- যে বাকশালকে আপনারা নিজ হাতে তৈরি করে আবার নিজ হাতে জবাই করে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গিয়েছেন, আবারও আপনারা পুরোনো ফন্দি এঁটে আবারও বাকশাল কায়েম করে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগৎ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মানুষ, যেসব দলগুলো গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, যে সব মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করে, তাদের পথ বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের আভাস আমরা পাচ্ছি।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সরকার জেলে পাঠিয়েছে অভিযোগ করে এই নেতা বলেন, বেগম জিয়া অসুস্থ, তাকে আপনারা (সরকার) মুক্তি দিচ্ছেন না। আপনারা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, নির্বাহী কমিটির সদস্যদের রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার করেছেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে থাকে, ঘুম থেকে উঠে বলে ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এক ঘণ্টা পরে কীভাবে ৪২ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমি জানতে চাই। এর উত্তর আপনাকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) এই বাংলার মাটিতে একদিন না একদিন দিতেই হবে। বিএনপিকে ধ্বংস করার হীন প্রচেষ্টা থেকে আপনাকে সরে আসতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, একদিন না একদিন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় নিশ্চয় হবে। সেদিন থেকে বাংলাদেশের গরিব মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কথা বলতে পারবে।

টিআইবি বলেছে, দেশের ৬৭ ভাগ সংসদ সদস্য কোটিপতির ওপরে। এই টাকা কই থেকে আসে? যেই ডিম তিন টাকা ছিল, সেটি এখন ১২ টাকা। যেই মোটা চাল ৪৪ টাকা ছিল, সেই চাল এখন ৬৫ টাকা। এসব সিন্ডিকেট করে তারা টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।