ঢাকা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যাকে সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হওয়ার জন্য সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দায়ী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বিজিবি সদস্য হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। ভারত তোষণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার প্রতিবাদ করতেও পারছে না। বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার করতে পারলে বিজিবি সদস্যকে প্রাণ দিতে হতো না।
তিনি আরও বলেন, সরকার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বিজিবি হত্যার প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। একজন প্রতিমন্ত্রীকে ভারতীয় দূতাবাসে প্রেরণ করে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছে। ফেলানীকে হত্যা করে বিএসএফ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে যে নির্মম বর্বরতা ভারত স্থাপন করেছে, তা বিশ্বে নজিরবিহীন, সীমান্ত আগ্রাসনের চরম দৃষ্টান্ত। বিজিবি সদস্য হত্যার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো যে, বিএসএফ সীমান্তে নির্বিচারে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো হত্যার মহোৎসব চালিয়ে আসছে। ভারত আর্ন্তজাতিক রীতি-নীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানছে না, তাই সীমান্ত হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।
লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি এস এম ইউসুফের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রামকৃষ্ণ সাহা, অ্যাড. জোহরা খাতুন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, মহানগর নেতা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশ মিয়া, রবিউল ইসলাম, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও যুগ্ম সম্পাদক মো. লিটন খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসসি/জেএইচ