ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মাঝের চর অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান ও অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

পিটুনিতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর নজরুল ইসলামকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ নিহত নজরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত নজরুল ইসলাম নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শফেদ আলী ভূইয়ার ছেলে।

নিহদের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, তার স্বামী নজরুল ইসলাম রূপগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাস স্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না ওঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে বিকল্প পথে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার সময় অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও ধ্বস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির ও দাইয়ানের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় জাকির ও দাইয়ানের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা তাকে কিল ঘুষি দিয়ে মারধর করেন। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়লে নজরুল ইসলামকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক হোসেন বলেন, নজরুল ইসলাম ধন্ধি বাজারে রড ও স্টিলের ব্যবসা করতেন। তিনি রাজনীতি করলেও নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন। তার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচার দাবি করি।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু বলেন, যুবলীগ নেতার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। তুচ্ছ ঘটনায় এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এমআরপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।