ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে নৌকার কর্মীকে হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে নৌকার কর্মীকে হয়রানির অভিযোগ

ঢাকা: নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুঞ্জিগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনার বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসুনাল কবির বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, ‘যারা ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন করবে না জাতীয় নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় তাদের কমিটি ভেঙে দেবেন।

এ কে এম আসুনাল কবির আরও অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ও এলাকাবাসী এ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যাকে নৌকা মার্কা দিয়েছেন; আমরা তার পক্ষে কাজ করেছি। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছি বিধায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও আইনজীবীর প্রভাব খাটিয়ে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার ফলে নেতাকর্মীরা নির্বাচন রেখে মামলা নিয়ে কোর্টে দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত থাকেন এবং ভোট চাওয়ার সুযোগ কম পায়। তাছাড়াও তিনি (সোহানা তাহমিনা) নির্বাচনের সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করতে তাহমিনা উঠে পড়ে লেগেছে। তারই ফলশ্রুতিতে হাফিজ আল আসাদ এর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন। তিনি জনতার রায়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পেরে এ ধরনে উন্মাদের মতো কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। সোহানা তাহমিনার ওপরে বর্ণিত অশুভ অপতৎপরতা ও কথায় কথায় কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুমকি-ধামকি থেকে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সোহানা তাহমিনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, তারাই আগে আমাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। যা নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে। আমি তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেছি। এটা আরও বেশি করার দরকার ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।