ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

ঢাকা: সংসদ অভিমুখে গণঅধিকার পরিষদের (নূর-রাশেদ) কালো পতাকা মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ অন্তত দশ নেতা আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রিতম জামান টাওয়ারের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল বের হয়।

মিছিল বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে মিছিলটি পণ্ড হয়ে যায়।

এরপর পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন আমার ঠোঁট ফেটে গেছে। পুলিশের সঙ্গে অনেক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়েছে। আমি ঠিকভাবে কথা বলতে পারছি না। আমি বলতে চাই, আমাদের এই মিছিল কি পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল? তাহলে তারা কেন আমাদের ওপর হামলা করল, লাঠিচার্জ করল। আজকের এই প্রোগ্রামে কি লাঠিচার্জের নির্দেশনা ছিল? পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে লাঠিচার্জ করায় আমাদের নারী নেত্রী ফাতিমা তাসনিমসহ আরও অনেকেই আহত হয়েছেন।

রাশেদ খান আরও বলেন, আমরা যারা মিছিলে এসেছি, তারা গ্রেপ্তারের ভয় পাই না। আমি আজকে আমার মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বলে এসেছি, হয়তো আমি গ্রেপ্তার হতে পারি। তবে আমরা কেউই এই গ্রেপ্তারে ভয় পাই না। আপনারা পুলিশ বাহিনী আমার ভাইদের ওপর হামলা চালাবেন না। গুলি করে ’৬৯-এর আন্দোলন ঠেকানো যায়নি, স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধেও গুলি করে আন্দোলন ঠেকানো যায়নি। তাই এইবার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনও ঠেকানো যাবে না। আমরা রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করব।  

লাঠিচার্জের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের প্রোগ্রামের জন্য কোনো দলেরই অনুমতি ছিল না। সেই হিসেবে আমরা কাউকেই প্রোগ্রাম করতে দেইনি। অন্যরা আমাদের নিষেধ শুনেছে কিন্তু ওরা (গণঅধিকার পরিষদ) শোনে নাই। তখন এরকম হতে পারে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংসদ পরিচালনা করতে হয়। আজ দেশে একটি ডামি নির্বাচনের পর প্রথম সংসদ অধিবেশন বসেছে। আমরা এটার বিরোধিতা করে মিছিল নিয়ে বের হয়েছি, সেখানে পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। আমাদের এই কালো পতাকা মিছিলকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা শোকের মিছিল, কান্নার মিছিল। দেশে কোনো ভোট হয়নি। যদি জনগণ আজকে ভোট দিতে পারতো তাহলে আওয়ামী লীগের নেতারা রাজপথে কান্নাকাটি করতেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।